সৌদি আরবের রিয়াদে রোববার শিরোপা লড়াইয়ে আথলেতিক বিলবাওয়ের বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে জয়ের পথে মদ্রিচের নৈপুণ্যে এগিয়ে যায় রিয়াল। বিরতির পর ইউরোপের সফলতম দলটির হয়ে দ্বিতীয় গোলটি করেন ফরোয়ার্ড করিম বেনজেমা।
ম্যাচের ৩৮তম মিনিটে অসাধারণ গোলটি করেন মদ্রিচ। নিজেদের সীমানা থেকে সতীর্থের পাস পেয়ে ৩৬ বছর বয়সী এই ফুটবলার ডান দিকে রদ্রিগোকে বল বাড়িয়ে সামনে এগিয়ে যান। ব্রাজিলিয়ান তরুণ ফরোয়ার্ড ডি-বক্সে ঢুকে প্রতিপক্ষের তিন জনের মধ্যে থেকে ছোট করে কাটব্যাক করেন আর প্রথম ছোঁয়ায় জোরাল উঁচু শটে ঠিকানা খুঁজে নেন মদ্রিচ।
ওই গোল ছাড়াও পুরো ম্যাচেই আলো ছড়িয়েছেন মদ্রিচ। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যেন খেলায় আরও ধার বাড়ছে তার। পেরেস মনে করেন, ২০১৮ সালের পর আবারও ব্যালন ডি'অর জেতার মতই খেলছেন মদ্রিচ।
“মদ্রিচ ঈর্ষণীয় ফর্মে আছে, সে আবারও ব্যালন ডি'অর জেতার যোগ্য।”
স্পট কিক ঠেকাতে ডান দিকে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন কোর্তোয়া, কিন্তু গার্সিয়া শট নেন সোজাসুজি। বলে চোখ রেখে দারুণ ক্ষিপ্রতায় পা দিয়ে ঠেকিয়ে দেন বেলজিয়ামের গোলরক্ষক।
পেরেসের মতে, মদ্রিচ ও কোর্তোয়া দুজনই নিজ নিজ পজিশনে বিশ্বসেরা।
ম্যাচের শেষ দিকে ভিনিসিউস জুনিয়রকে তুলে অভিজ্ঞ লেফট-ব্যাক মার্সেলোকে বদলি নামান কোচ কার্লো আনচেলত্তি। এর মধ্য দিয়ে রিয়ালের হয়ে মাঠে থেকে যৌথভাবে সাবেক স্প্যানিশ তারকা পাকো গেন্তোর সমান ২৪টি শিরোপা জয়ের স্বাদ পেলেন এই ব্রাজিলিয়ান তারকা।
করতালির মাধ্যমে তাকে অভিনন্দন জানান মাঠে উপস্থিত রিয়ালের সমর্থকরা। মার্সেলোর এই অর্জনে খুশি ৭৪ বছর বয়সী পেরেস।
“মার্সেলো একজন কিংবদন্তি। তার এমন অভ্যর্থনা পাওয়াটা অবধারিতই ছিল। রিয়ালের অনেক সমর্থকের উপস্থিতিতে সে এটা পাওয়ায় আমি খুশি।”