সরকারের আদেশ বাতিল করে বিচারক অ্যান্থনি কেলি সোমবার তার রায়ে বলেছেন, পাসপোর্ট এবং অন্যান্য কাগজপত্র ফেরত দিয়ে আধা ঘণ্টার মধ্যে জোকোভিচকে ছেড়ে দিতে হবে এবং তিনি অস্ট্রেলিয়ায় থাকতে পারবেন।
বিবিসি জানিয়েছে, মামলা চালাতে জোকোভিচের যে খরচ হয়েছে, সেটাও অস্ট্রেলিয়া সরকারকে বহন করতে বলেছে আদালত।
রয়টার্স লিখেছে, আদালতের রায় পক্ষে পাওয়ায় আসন্ন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে অংশ নিয়ে নিজের ২১তম গ্র্যান্ড স্লাম জয়ের আশাও ফিরে এসেছে পুরুষদের টেনিসে বিশ্বের এক নম্বর খেলেয়াড় জোকোভিচের সামনে।
অবশ্য অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসন মন্ত্রী তার নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগ করে নতুন কোনো কারণ দেখিয়ে আবারও জোকোভিচের ভিসা বাতিল করে দিতে পারেন।
অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশের জন্য এখন কোভিড টিকা নেওয়ার বাধ্যবাধকতা থাকলেও ১৭ জানুয়ারি থেকে অনুষ্ঠেয় অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে খেলার সুযোগ দিতে সার্বিয়ার খেলোয়াড় জোকোভিচের ক্ষেত্রে ওই শর্ত শিথিল করে ভিসা দেওয়া হয়েছিল।
টিকা না নিয়েও জোকোভিচের ভিসা পাওয়ার সেই খবরে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে অস্ট্রেলিয়ার স্কট মরিসনের সরকার। সরকার করদাতাদের ক্ষেত্রে নিয়মের কড়াকড়ি করলেও বিদেশিদের ছাড় দিচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে।
এরপর গত ৬ জানুয়ারি জোকোভিচ মেলবোর্নের টুলামারিন বিমানবন্দরে নামার পর তাকে আটকে দেওয়া হয়। কয়েক ঘণ্টা বসিয়ে রেখে পরে জানানো হয়, অস্ট্রেলিয়ায় আসার ক্ষেত্রে শর্ত পূরণ না হওয়ায় তার ভিসা বাতিল করা হয়েছে, সে কারণে তাকে ফেরত পাঠানো হবে।
এরপর জোকেভিচকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় একটি হোটেলে রাখা হয় ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের হেফাজতে। ফেরত পাঠানো এড়াতে অস্ট্রেলিয়ার হাই কোর্টে আবেদন করেন জোকোভিচ।
সোমবার এ বিষয়ে শুনানিতে বিচারক অ্যান্থনি কেলি বলেন, বিমানবন্দরে জোকোভিচকে যেভাবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে এবং যেভাবে তার ভিসা বাতিল করা হয়েছে, তার কোনোটিই ‘যৌক্তিক ছিল না’।
ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ যখন জোকোভিচকে জানাল যে তার ভিসা বাতিল করা হবে, তখন টেনিস সংস্থা বা আইনজীবীর সাথে কথা বলার জন্য এবং জবাব দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত সময়ও তাকে দেওয়া হয়নি বলে মনে করেছেন বিচারক।