সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে শনিবার রাতের ম্যাচটি ৪-১ গোলে জিতেছে রিয়াল। ভালেন্সিয়ার একমাত্র গোলটি করেন গনসালো গেদেস।
গত রাউন্ডে গেতাফের মাঠে ১-০ গোলে হেরেছিল রিয়াল। এতে লিগে টানা ১১ ও সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা ১৫ ম্যাচের অপরাজেয় যাত্রায় ছেদ পড়েছিল তাদের।
ভালেন্সিয়ার বিপক্ষে ৬৭ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে গোলের জন্য রিয়াল শট নেয় মোট ২৩টি, যার আটটি ছিল লক্ষ্যে। আর সফরকারীদের ১২ শটের সাতটি লক্ষ্যে ছিল।
ষষ্ঠ মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারত রিয়াল। ডান দিক থেকে টনি ক্রুসের ফ্রি-কিকে ডি-বক্সে লাফিয়ে এদের মিলিতাওয়ের হেড বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে ঠেকান গোলরক্ষক ইয়াসপের সিলেসেন। অষ্টাদশ মিনিটে ডিফেন্ডার ফেরলঁদ মঁদির ক্রসে ডি-বক্সে ভিনিসিউসের হেড যায় বাইরে দিয়ে।
৪০তম মিনিটে বাঁধ সাধে দুর্ভাগ্য। লুকা মদ্রিচের দারুণ শট ক্রসবারে লেগে ফেরে। পরক্ষণেই কাসেমিরো প্রতিপক্ষের ডি-বক্সে ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি পায় রিয়াল। সফল স্পট কিকে দলকে এগিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি রিয়ালের জার্সিতে ৩০০ গোলের মাইলফলক স্পর্শ করেন বেনজেমা।
দ্বিতীয়ার্ধের সপ্তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ হয় স্বাগতিকদের। ডি-বক্সে ঢুকে বেনজেমার সঙ্গে বল দেওয়া-নেওয়া করে গোলরক্ষককে ফাঁকি দেন ভিনিসিউস।
৬১তম মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোলে ব্যবধান আরও বাড়ান তিনি। বেনজেমার পাস ধরে আসেনসিওর শট সিলেসেন ঠেকালেও বিপদমুক্ত করতে পারেননি। হেডে ফাঁকা জালে বল পাঠান ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।
৬৩তম মিনিটে দুর্দান্ত এক সেভে জাল অক্ষত রাখেন থিবো কোর্তোয়া। ডি-বক্সের বাইরে থেকে ডেনিশ মিডফিল্ডার ড্যানিয়েল ভাসের জোরালো শট ডান দিকে ঝাঁপিয়ে ব্যর্থ করে দেন বেলজিয়ান গোলরক্ষক।
৭৫তম মিনিটে মঁদি ভালেন্সিয়ার মার্কোস আন্দ্রেকে ডি-বক্সে ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। গেদেসের স্পট কিক অবশ্য বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে ঠেকান কোর্তোয়া, তবে ফিরতি বল হেডে জালে পাঠান পর্তুগিজ মিডফিল্ডার।
নির্ধারিত সময়ের দুই মিনিট বাকি থাকতে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন বেনজেমা। মঁদির পাস থেকে ঠিকানা খুঁজে নেন ৩৪ বছর বয়সী স্ট্রাইকার।
এই মৌসুমে লিগের সর্বোচ্চ স্কোরার এই ফরাসি তারকার গোল হলো ২০ ম্যাচে ১৭টি।
২০ ম্যাচে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে ৯ নম্বরে ভালেন্সিয়া।
দিনের আরেক ম্যাচে গ্রানাদার সঙ্গে ১-১ ড্র করা বার্সেলোনা ৩২ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে আছে।