মোহামেডানকে হারিয়ে ফাইনালে রহমতগঞ্জ

শুরুর দিকে পাওয়া গোলে জয়ের পথেই ছিল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। কিন্তু মেসিডোনিয়ার ডিফেন্ডার ইয়াসমিন মেসিনোভিকি দ্বিতীয় হলুদ কার্ড পাওয়ার পর পথ হারাল তারা। বাকি সময়ে উজ্জীবিত ফুটবল খেলে ফাইনালে উঠে গেল রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস অ্যান্ড সোসাইটি।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Jan 2022, 12:06 PM
Updated : 7 Jan 2022, 12:43 PM

কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার প্রথম সেমি-ফাইনালে ২-১ গোলে জিতেছে রহমতগঞ্জ। ২০১৯-২০ মৌসুমের পর আবারও প্রতিযোগিতাটির ফাইনালে উঠল পুরান ঢাকার দলটি। ২০০৯ সালের পর আরেকবার ফেডারেশন কাপের ফাইনালে খেলার আশা গুঁড়িয়ে গেল মোহামেডানের।

পঞ্চম মিনিটে প্রথম আক্রমণেই এগিয়ে যায় ১২ বছর আগে সবশেষ এ শিরোপা জেতা মোহামেডানে। আলমগীর মোল্লার কর্নারে দূরের পোস্ট থেকে অ্যারন জন রিয়ারাডনের হেড পাসে গোলমুখ থেকে নিখুঁত টোকায় জাল খুঁজে নেন ডিফেন্ডার রাজীব হোসেন।

তিন মিনিট পর আলমগীরের ভাসানো ক্রসে বক্সের ভেতরে সাহেদ মিয়ার হেড ক্রসবারের একটু উপর দিয়ে বেরিয়ে যায়। ২২তম মিনিটে গোলরক্ষককে একা পেয়েও ব্যবধান দ্বিগুণের ভালো সুযোগ নষ্ট করেন সাহেদ।

মাঝ মাঠের খানিকটা ওপরে শাহরিয়ার বাপ্পীর কাছ থেকে বল কেড়ে নিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন সাহেদ, কিন্তু শেষ স্পর্শ জোরালো হওয়ায় বল তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে এসে ক্লিয়ার করেন গোলরক্ষক রাকিবুল হাসান তুষার।

৩৫তম মিনিটে গোছালো আক্রমণে সমতায় ফেরার সুযোগ পেয়েছিল কোয়ার্টার-ফাইনালে টাইব্রেকারে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রকে হারিয়ে আসা রহমতগঞ্জ। বক্সের ভেতরে এনামুল ইসলাম গাজীর শট রিয়ারডনের গায়ে লেগে খানিকটা দিক পাল্টে চলে যায় ফিলিপ আজাহর কাছে। ঘানার এই ফরোয়ার্ডের জোরালো শট বাইরের জাল কাঁপায়।

৪০তম মিনিটে আবারও সহজ সুযোগ নষ্ট করেন সাহেদ। অনিক মিয়ার পাস ধরে ডান দিক দিয়ে বক্সে ঢুকে কাট ব্যাক করেন সুলেমানে দিয়াবাতে, গোল মুখে ফাঁকায় থেকেও তুষারকে পরাস্ত করতে পারেননি সাহেদ। গোলরক্ষক বরাবর মেরে বসেন এই মিডফিল্ডার।

মোহামেডানের বিপদ বাড়ে ৬৭তম মিনিটে। আক্রমণে ওঠা আজাহকে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেন ডিফেন্ডার মেসিনোভিকি। একটু পর রহমতগঞ্জের সানডে চিজোবা বক্সের ভেতর থেকে লক্ষ্যভ্রষ্ট শটে হতাশা বাড়ান।

৭৫তম মিনিটে মোহামেডানের ওবি মোনেকের শট ঝাঁপিয়ে পড়ে কর্নারের বিনিময়ে ফেরান তুষার। এরপর রহমতগঞ্জের চিজোবার নিচু শট সরাসরি যায় গোলরক্ষক সুজন হোসেনের কাছে।

রহমতগঞ্জে সমতার স্বস্তি ফিরে ৭৮তম মিনিটে। নিজেদের অর্ধ থেকে আশরাফুল ইসলামের লং পাস অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে নিয়ন্ত্রণে নেন আজাহ। পেছনে থাকা এক ডিফেন্ডারকে প্রতিরোধের সুযোগ না দিয়ে ঘানার এই ফরোয়ার্ডের নেওয়া জোরাল শট পোস্টের ভেতরের কানায় লেগে জালে জড়ায়।

শেষ দিকে মোহামেডানের রক্ষণে চড়াও হয় রহমতগঞ্জ। ৮৭তম মিনিটে রাব্বীর ক্রসে চিজোবার বাইসাইকেল কিক ক্রসবারের একটু উপর দিয়ে বেরিয়ে যায়।

যোগ করা সময়ে জয়সূচক গোল পেয়ে যায় রহমতগঞ্জ। সতীর্থের লং পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে সাদেকুজ্জামান ফাহিমকে বোকা বানিয়ে বল বের করে নিয়ে আজাহ ক্রস বাড়ান বক্সে। গোলমুখে অরক্ষিত চিজোবা ঠাণ্ডা মাথায় লক্ষ্যভেদ করেন।

রোববারের ফাইনালে রহমতগঞ্জ মুখোমুখি হবে আবাহনী লিমিটেড ও সাইফ স্পোর্টিংয়ের মধ্যকার দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে জয়ী দলের বিপক্ষে।