তবু কাতার বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্ন এরিকসেনের

হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মাঠে লুটিয়ে পড়ার পর থেকে খেলা হয়নি প্রতিযোগিতামূলক ফুটবল। পরিস্থিতির বাস্তবতায় ইন্টার মিলানের সঙ্গে সম্পর্কও চুকেবুকে গেছে। কিন্তু স্বপ্ন দেখতে তো মানা নেই। ক্রিস্তিয়ান এরিকসেনও তাই স্বপ্ন দেখছেন কাতার বিশ্বকাপ ঘিরে। বৈশ্বিক ফুটবলের সর্বোচ্চ আসরে খেলতে চান ডেনমার্কের জার্সিতে।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Jan 2022, 11:28 AM
Updated : 5 Jan 2022, 11:28 AM

গত জুনে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে কোপেনহেগেনে ফিনল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের প্রথমার্ধে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মাঠে লুটিয়ে পড়েন এরিকসেন। মাঠেই তাকে দেওয়া হয় সিপিআর। দীর্ঘক্ষণ চিকিৎসা দেওয়ার পর তাকে নেওয়া হয় হাসপাতালে।

এরপর এরিকসেনের শরীরে ইমপ্ল্যানটেবল কার্ডিওভার্টার ডেফিব্রিলেটর (আইসিডি) বসানো হয়। এটি একটি ছোট ইলেকট্রনিক ডিভাইস, পেসমেকারের মতো যা কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট প্রতিরোধ করে হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক রাখার কাজ করে।

পরবর্তীতে সুস্থ হয়ে টুকটাক অনুশীলন শুরু করেন এরিকসেন। গত অগাস্টে ক্লাব ইন্টারেও ফেরেন তিনি। কিন্তু তখনই ইতালিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করে বলা হয়, শরীরে ইলেকট্রনিক ডিভাইস থাকায় ইতালিতে খেলতে পারবেন না এরিকসেন। পরে গত মাসে তাকে ছেড়ে দেয় ইন্টার।

সেই ফিনল্যান্ড ম্যাচের পর থেকে আর প্রতিযোগিতামূলক ফুটবল খেলা হয়নি এরিকসেনের। তবে ডেনিস সম্প্রচার প্রতিষ্ঠান ডিআর-এর সঙ্গে আলাপচারিতায় ২৯ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার জানিয়েছেন শারীরিকভাবে আগের চেয়ে শক্তিশালী অনুভব করছেন। আশাবাদী কাতার বিশ্বকাপ খেলা নিয়েও।

“আমার লক্ষ্য কাতার বিশ্বকাপ খেলা…আমাকে দলে নেওয়া হবে কি-না, সেটা ভিন্ন বিষয়। তবে আবারও মাঠে ফেরাটাই আমার স্বপ্ন। তো তার আগ পর্যন্ত খেলা চালিয়ে যাব এবং প্রমাণ করব আগের পর্যায়ে আমি ফিরেছি।”

গণমাধ্যমের খবর, সম্প্রতি সুইজারল্যান্ডের তৃতীয়-বিভাগের দল খিয়াস্সোর সঙ্গে অনুশীলন শুরু করেছেন এরিকসেন। ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস লাগানো হৃদপিণ্ড কোনো ‘বাধা হবে না’ বলেও মনে করেন তিনি। কোপেনহেগেনের পার্কেন স্টেডিয়ামের ওই দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না বলেও বিশ্বাস তার।

“আমার স্বপ্ন জাতীয় দলে ফেরা এবং পার্কেন স্টেডিয়ামে আবারও খেলা। প্রমাণ করতে চাই যে পার্কেন স্টেডিয়ামের ওই ঘটনা ছিল স্রেফ একবারের ঘটনা (আর ঘটবে না)। এখন আমার মান পর্যালোচনা করা কোচের ব্যাপার।”

কোপেনহেগেনের ওই দুর্ঘটনার পর হাজারো মানুষের সমর্থন, ভালোবাসা সংবলিত বার্তা পেয়েছেন এরিকসেন। তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তিনি।

“অদ্ভূত একটা সময় ছিল। আমি প্রত্যাশা করিনি যে মানুষ আমাকে ফুল পাঠাবে; কেননা, আমি পাঁচ মিনিটের জন্য তো মরেই গিয়েছিলাম…কিন্তু আমার প্রতি সবার এই ভালোবাসা, খুব ভালোলাগার একটা ব্যাপার ছিল। সেরে ওঠার পথে সবার শুভকামনা আমাকে অনেক সাহায্য করেছে। এখনও মানুষ আমাকে বার্তা পাঠায়।”