স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে রোববার প্রিমিয়ার লিগের হাইভোল্টেজ ম্যাচটি ২-২ গোলে ড্র হয়েছে। সবগুলো গোলই হয়েছে প্রথমার্ধে।
লিভারপুলের হয়ে একটি করে গোল করেন সাদিও মানে ও মোহামেদ সালাহ। চেলসির দুই গোলদাতা মাতেও কোভাচিচ ও ক্রিস্টিয়ান পুলিসিক।
ঘরের মাঠে বল দখলে কিছুটা এগিয়ে থাকা চেলসি গোলের জন্য শট নেয় মোট ১৫টি, যার ছয়টি ছিল লক্ষ্যে। লিভারপুলের ১০ শটের ছয়টি লক্ষ্যে ছিল।
প্রতিপক্ষের ভুলে আর মানের দারুণ ফিনিশিংয়ে নবম মিনিটেই এগিয়ে যায় লিভারপুল। দিয়োগো জটার নিচু ক্রস হেডে ক্লিয়ার করার চেষ্টা করতে গিয়ে পারেননি চেলসির ডিফেন্ডার চালোবাহ। বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে গোলরক্ষককে কাটিয়ে বাঁ পায়ের শটে ঠিকানা খুঁজে নেন সেনেগালের ফরোয়ার্ড মানে।
২২তম মিনিটে জটার পাস ধরে ওয়ান-অন-ওয়ানে সালাহর শট দারুণ দক্ষতায় ঠেকিয়ে দেন স্বাগতিক গোলরক্ষক এদুয়াঁ মঁদি। যদিও অফ সাইডের পতাকা তোলেন লাইন্সম্যান।
বিরতির আগে চার মিনিটের মধ্যে গোল দুটি শোধ করে ম্যাচে ফেরে চেলসি।
৪২তম মিনিটে মার্কোস আলোনসোর ফ্রি-কিক পাঞ্চ করে ফেরান লিভারপুল গোলরক্ষক কেলেহার। ডি-বক্সের বাইরে থেকে অসাধারণ ভলিতে বল জালে পাঠান ক্রোয়াট মিডফিল্ডার কোভাচিচ। যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে এনগোলো কঁতের বাড়ানো বল ডি-বক্সে বুক দিয়ে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ওপরের কোণা দিয়ে দ্বিতীয় গোলটি করেন পুলিসিক।
প্রথমার্ধের বাঁশি বাজার আগে ম্যাসন মাউন্টের প্রচেষ্টা পোস্টের সামান্য বাইরে দিয়ে যাওয়ায় আরেকটি গোল পায়নি চেলসি।
৬৮তম মিনিটে আরেকটি সুযোগ পান সালাহ, এবার তার প্রচেষ্টা লক্ষ্যে থাকেনি। ৮২তম মিনিটে মাউন্টের প্রচেষ্টা রুখে দেওয়ার দুই মিনিট পর আলোনসোর ফ্রি-কিক ঠেকান কেলেহার।
২০ ম্যাচে ১২ জয় ও ৬ ড্রয়ে ৪২ পয়েন্ট নিয়ে তিনে আছে লিভারপুল। এক ম্যাচ বেশি খেলে ১২ জয় ও ৭ ড্রয়ে ৪৩ পয়েন্ট নিয়ে চেলসি আছে দুই নম্বরে।
চেলসির সমান ম্যাচে ৫৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে শিরোপাধারী ম্যানচেস্টার সিটি।