কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার ২-১ গোলে জিতেছে সাইফ স্পোর্টিং। দুই ম্যাচে ১টি করে জয় ও ড্রয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে ‘সি’ গ্রুপের সেরা হয়েছে তারা। ৩ পয়েন্ট নিয়ে রানার্সআপ চট্টগ্রাম আবাহনী।
দুই ম্যাচে ১ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় পুলিশ এফসি। সাইফ স্পোর্টিংয়ের বিপক্ষে ১-১ ড্রয়ের পর চট্টগ্রাম আবাহনীর কাছে ২-০ গোলে হেরেছিল তারা।
ম্যাচের প্রথম ভালো সুযোগ পায় সাইফ স্পোর্টিং। তবে ষোড়শ মিনিটে ডান দিক থেকে ফয়সাল আহমেদ ফাহিমের ক্রসে দূরের পোস্টে তালগোল পাকিয়ে প্রথম চেষ্টায় শট নিতে পারেননি এমফন উদোহ। সাইফ স্পোর্টিংয়ের এই নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড পরে শট নিলেও এড়াতে পারেননি গোলরক্ষককে।
২২তম মিনিটে উদোহর শট পোস্টে লেগে ফিরে। ৩৪তম মিনিটে তিনি নষ্ট করেন আরেকটি সুবর্ণ সুযোগ। গোলরক্ষককে একা পেয়েও ঠিকঠাক শট নিতে পারেননি তিনি।
পরের মিনিটেই জামাল ভূইয়ার পাসে মারাজ হোসেনের প্লেসিং শটে এগিয়ে যায় সাইফ স্পোর্টিং। ৩৮তম মিনিটে জামালের কর্নারে হেডে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন উজবেকিস্তানের আসরোর গফুরভ।
৬১তম মিনিটে ব্যবধান কমানোর দারুণ সুযোগ হাতছাড়া করেন শাখাওয়াত হোসেন রনি। চট্টগ্রাম আবাহনীর এই ফরোয়ার্ডের জোরাল শট ক্রসবার কাঁপায়।
৭৮তম মিনিটে রনিকে ফাউল করে সরাসরি লালকার্ড পান রিয়াদুল হাসান রাফি; দশজনের দলে পরিণত হয় সাইফ স্পোর্টিং। এরপরই শোয়েব মিয়ার ফ্রি কিকে আরিফুর রহমানের ফ্লিকে ঘুরে দাঁড়ায় বন্দরনগরীর দলটি। কিন্তু ব্যবধান কমালেও বাকি সময়ে মারুফুল হকের দল পারেনি সমতা ফেরাতে।
সেমি-ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে চট্টগ্রাম আবাহনীর প্রতিপক্ষ মোহামেডান। সাইফ স্পোর্টিং খেলবে স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘের বিপক্ষে।
শেষ আটে শেখ জামাল মুখোমুখি হবে প্রতিযোগিতার রেকর্ড ১১ বারের চ্যাম্পিয়ন আবাহনীর। রহমতগঞ্জের প্রতিপক্ষ শেখ রাসেল।