টাইব্রেকারে জিতে গ্রুপ সেরা শেখ জামাল

আগেই কোয়ার্টার-ফাইনাল নিশ্চিত হওয়া দুই দলের লড়াইয়ে ছড়াল রোমাঞ্চ। প্রথমার্ধে এগিয়ে গেল শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব। দ্বিতীয়ার্ধের শেষ দিকে সমতায় ফিরে ম্যাচ টাইব্রেকারে টেনে নিল রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস অ্যান্ড সোসাইটি। সেখানে আর পারল না দলটি। গোলরক্ষকের নৈপুণ‍্যে জিতে গ্রুপ সেরা হলো শেখ জামাল।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Dec 2021, 12:43 PM
Updated : 30 Dec 2021, 03:31 PM

কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার টাইব্রেকারে ৫-৪ গোলে জিতে ‘ডি’ গ্রুপের সেরা হয়ে ফেডারেশন কাপের শেষ আটে যায় শেখ জামাল। দুই দলের নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হয়েছিল ১-১ সমতায়।

টাইব্রেকারের কথা ভেবেই মিতুল মারমাকে তুলে নিয়ে শেখ জামাল কোচ বদলি নামান মোহাম্মদ নাইমকে। সানডের শট ঝাঁপিয়ে পড়ে আটকে প্রত্যাশার প্রতিদান দেন এই গোলরক্ষক। এটিই গড়ে দেয় ম্যাচের ভাগ্য।

রহমতগঞ্জের সিয়োভুস আসরোরভ, ওয়ালী ফয়সাল, ফিলিপ আজাহ ও  মোহাম্মদ স্বাধীন টাইব্রেকারে লক্ষ্যভেদ করেন। শেখ জামালের সলোমন কিং, ইয়াসিন খান, আরিফুল ইসলাম,  নুরুল আবসার, রায়হান হোসেন, সবাই পান জালের দেখা।

মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র সরে দাঁড়ানোয় শেখ জামাল ও রহমতগঞ্জের ম্যাচটি হয়ে যায় গ্রুপ সেরার লড়াই। প্রথম ভালো আক্রমণ থেকে এগিয়ে যায় শেখ জামাল। সপ্তম মিনিটে রায়হানের লম্বা থ্রো-ইন ধরে নুরুল আবসার ডান দিক দিয়ে বক্সে ঢুকে কোনাকুনি শটে দূরের পোস্ট দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন।

২৫তম মিনিটে ভলিজনোভ ওতাবেকের ফ্রি-কিক ক্রস বারের ওপর দিয়ে যায়। তিন মিনিট পর হতাশ হতে হয় রহমতগঞ্জকে। মাহমুদুল হাসান কিরণের ফ্রি-কিকে এনামুল হোসেন গাজীর হেড পোস্টে লেগে ফেরে।

প্রথমার্ধের শেষ দিকে সমতায় ফেরার আরেকটি সুযোগ নষ্ট হয় রহমতগঞ্জের। খন্দকার আশরাফুল ইসলামের ক্রসে নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড সানডে চিজোবার প্লেসিং শট ক্রসবারের ওপর দিয়ে যায়।

দ্বিতীয়ার্ধে রহমতগঞ্জের রক্ষণে একাধিকবার ভীতি ছড়ালেও ব্যবধান বাড়িয়ে নিতে পারেনি রহমতগঞ্জ। ৫২তম ও ৬১তম মিনিটে ওতাবেকের ফ্রি কিক, ৭০তম মিনিটে আবসারের হেড ক্রসবারের উপর দিয়ে যায়।

৮০তম মিনিটে ফিলিপ আজাহর ক্রস বক্সে ফাঁকায় পেয়েও নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেননি সানডে। একটু পর বদলি ফরোয়ার্ড মোহাম্মদ স্বাধীনের শট আটকান গোলরক্ষক মিতুল মারমা।

নির্ধারিত সময়ের শেষ দিকে সমতায় ফিরে ম্যাচ জমিয়ে দেয় রহমতগঞ্জ। ডান দিক দিয়ে আক্রমণে ওঠা ঘানার ফরোয়ার্ড ফিলিপ গায়ের সঙ্গে সেঁটে থাকা ডিফেন্ডারকে বোকা বানিয়ে ব্যাক হিলে বল বাড়ান বক্সে। অরক্ষিত সানডে ফাঁকা পোস্টে অনায়াসে বল জড়িয়ে দেন।

দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে ফিলিপের ডান পায়ে কোনাকুনি শট অনেকটা লাফিয়ে আটকে শেখ জামালের ত্রাতা মিতুল। ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে, সেখানে ব্যবধান গড়ে দেন মিতুলের বদলি নামা নাইম।

সেরা আটে কঠিন প্রতিপক্ষের মুখোমুখিই হতে হচ্ছে শেখ জামালকে। প্রতিযোগিতার রেকর্ড ১১ বারের চ্যাম্পিয়ন আবাহনী তাদের প্রতিপক্ষ। রহমতগঞ্জ লড়বে শেখ রাসেলের বিপক্ষে।