‘ম্যানচেস্টারের খেলোয়াড়রা একদল ছিঁচকাঁদুনে’

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের খেলা একদমই ভালো লাগেনি গ্যারি নেভিলের। খেলোয়াড়দের কড়া সমালোচনা করেছেন প্রিমিয়ার লিগের সফলতম দলটির সাবেক এই ডিফেন্ডার। তার মতে, মাঠে নিজেদের কাজ করার চেয়ে পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করায় ব্যস্ত ছিলেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো, ব্রুনো ফের্নান্দেসরা।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Dec 2021, 01:03 PM
Updated : 28 Dec 2021, 01:03 PM

প্রিমিয়ার লিগে সোমবার রাতের ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়েছে। সপ্তম মিনিটে নিউক্যাসল এগিয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে এদিনসন কাভানির গোলে এক পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ে ম্যানচেস্টার।

স্কাই স্পোর্টসের জন্য খেলা বিশ্লেষণ করা নেভিল প্রথম দফায় ম্যানচেস্টারের খেলোয়াড়দের কড়া সমালোচনা করেন বিরতিতে।

“তারা পরস্পরের দিকে কাঁদা ছোঁড়াছুঁড়ি করছে। ওরা একদল ছিঁচকাঁদুনে। আমি নাম বলতে চাই না, তবে সত্যি বলতে, হাত উঁচিয়ে তারা পরস্পরের দিকে আঙুল তুলছে, সবকিছু নিয়েই তাদের অভিযোগ।”

“তাদের কারণে সবশেষ কোচ (উলে গুনার সুলশার) বরখাস্ত হয়েছেন এবং রালফ রাংনিক বরখাস্ত হতে যাচ্ছেন না- তিনি খেলোয়াড়দের সঙ্গে মাত্র দুই বা তিন সপ্তাহ ধরে আছেন - তবে এভাবে চলতে থাকলে তারা অনেক কোচকেই বরখাস্ত করাবে, কারণ এটি সত্যিই, সত্যিই খুব খারাপ পারফরম্যান্স।”

ম্যাচ শেষে নেভিল সমালোচনা করেন দুই পর্তুগিজ তারকা রোনালদো ও ফের্নান্দেসের। বললেন, দলের অভিজ্ঞ খেলোয়াড় হিসেবে দায়িত্ব না নিয়ে উল্টো অন্যদের দিকে অভিযোগের আঙ্গুল তুলছেন এই দুজন।

“(রোনালদো ও ফের্নান্দেসের ম্যাচ চলাকালীন অভিযোগ) প্রায় দুই মাস ধরে আমাকে বিরক্ত করছে। দলের সেরা খেলোয়াড়রা যখন অন্যদের প্রতি আক্রমণাত্বক চেহারা ও শারীরিক ভাষা দেখায় তখন তা খুব হতাশাজনক। তাদের অন্যদের সাহায্য করতে হবে এবং দলের নেতা হতে হবে।”

“আমার মনে হয়, দলে কোনো একটা সমস্যা আছে। ব্রুনো সব সময় ঝগড়া করে। সতীর্থদের সবচেয়ে কঠিন মুহূর্তে যখন তাকে প্রয়োজন তখন তার সেখানে থাকতে হবে।”

ম্যানচেস্টার ছাড়ার ১১ বছর পর গ্রীষ্মের দলবদলে আবার ক্লাবে ফেরেন রোনালদো। চলতি মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ২০ ম্যাচে ১৩ গোল করা এই তারকা ফরোয়ার্ড নিউক্যাসলের বিপক্ষে ম্যাচে ছিলেন না চেনা ছন্দে। ম্যাচ শেষে সরাসরি মাঠে ছাড়েন দর্শকদের ধন্যবাদ না জানিয়ে।

ব্যাপারটি মেনে নিতে পারেন নি নেভিল। সাবেক সতীর্থের আচরণে দলের মধ্যে নেতৃত্বের সঙ্কট দেখেছেন নেভিল।

“আমি তাকে ভালোবাসি, কিন্তু খেলা শেষে (দর্শকদের ধন্যবাদ না জানিয়ে) মাঠে ছেড়ে যাওয়া আমি মেনে নিতে পারি না।”

“তারা সবাই একে অন্যকে দোষ দিচ্ছে, সাহায্য করছে না। একটি ড্রেসিং রুমের একাত্ত্বতা সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ। আমার মনে হয় না যে, তারা সবাই এই মুহূর্তে একে অন্যের সঙ্গে আছে। আমি মনে করি, সেখানে নেতৃত্বের সঙ্কট চলছে।”