ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে সোমবার রাতে ১-১ গোলে ড্র হয়েছে দুই ইউনাইটেড, ম্যানচেস্টার ও নিউক্যাসলের লড়াই।
দুই দলের আগের চার ম্যাচে ১৫ গোল করা ম্যানচেস্টার এবার ৭০ শতাংশ সময় বল নিয়ন্ত্রণে রেখে গোলের জন্য শট নেয় ১৩টি, এর কেবল চারটি ছিল লক্ষ্যে। অন্য দিকে ম্যানচেস্টারের বিপক্ষে আগের পাঁচ ম্যাচে জালের দেখা পাওয়া নিউক্যাসলের ১৩ শটের আটটি ছিল লক্ষ্যে।
পিছিয়ে পড়েও গোলের জন্য নিশ্চিত সুযোগ তৈরি করতে পারছিল না ম্যানচেস্টার। উল্টো ২৪তম মিনিটে আবার গোল হজম করতে বসেছিল। তবে ২৫ গজ দূর থেকে জনজো শেভলির শট ব্যর্থ করে দেন সফরকারী গোলরক্ষক দাভিদ দে হেয়া।
৩৮তম মিনিটে ক্যালাম উইলসন বল জালে পাঠান। তবে সাঁ-মাক্সিমাঁর ডিফেন্স চেরা পাস পাওয়ার আগে এই ফরোয়ার্ড অফসাইডে থাকা গোল পায়নি নিউক্যাসল।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করেন সাঁ-মাক্সিমাঁ। ৪৮তম মিনিটে ডি-বক্সে অরক্ষিত এই ফরোয়ার্ড নেন দুর্বল শট। সেটি ব্যর্থ করে দেন ম্যানচেস্টার গোলরক্ষক।
অনেকটা সৌভাগ্যের গোলে ৭১তম মিনিটে সমতা আনেন কাভানি। তার শট একজন ডিফেন্ডারের গায়ে লাগলে আবার পেয়ে যান উরুগুয়ের অভিজ্ঞ এই স্ট্রাইকার। ততক্ষণে বলের জন্য ঝাঁপ দেওয়ায় নিউক্যাসল গোলরক্ষক ছিলেন মাটিতে। প্রায় ফাঁকা জালে বল পাঠান কাভানি। বদলি হিসেবে নেমে ম্যানচেস্টারের হয়ে ১৭ ম্যাচে এটি তার ষষ্ঠ গোল।
রাংনিক ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে আসার পর তার কোচিংয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে চার ম্যাচে অপরাজিত রইলো ইউনাইটেড। প্রিমিয়ার লিগে কোভিডের ছোবলে স্থগিত হয়ে আছে ব্রেন্টফোর্ড ও ব্রাইটন অ্যান্ড হোভ অ্যালবিয়নের বিপক্ষে ম্যানচেস্টারের দলটির দুটি ম্যাচ। সবশেষ ইউনাইটেড খেলেছিল গত ১১ ডিসেম্বর।
মূল দলে কয়েকজন খেলোয়াড় ও স্টাফের শরীরে কোভিড-১৯ শনাক্ত হওয়ায় গত ১৩ ডিসেম্বর নিজেদের ট্রেনিং কমপ্লেক্স বন্ধ করে দিয়েছিল ইউনাইটেড। তারপর এই প্রথম মাঠে ফিরে তিন পয়েন্ট পেতে ব্যর্থ হলো দলটি।
১৭ ম্যাচে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে সাত নম্বরে রয়েছে ম্যানচেস্টার। ১৯ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে ১৯ নম্বরে নিউক্যাসল।
১৯ ম্যাচে ৪৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে শিরোপাধারী ম্যানচেস্টার সিটি। ১৮ ম্যাচে ৪১ পয়েন্ট নিয়ে তিনে লিভারপুল। এক ম্যাচ বেশি খেললেও গোল ব্যবধানে পিছিয়ে তিনে চেলসি। চারে থাকা আর্সেনালের পয়েন্ট ৩৫।