কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে সোমবার স্বাধীনতাকে ৪-৩ গোলে হারায় মোহামেডান। নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হয়েছিল ১-১ সমতায়।
নির্ধারিত সময় শেষের পর ঘটতে থাকে নানা কাণ্ড। দুই দলের খেলোয়াড়রা মাঠ ছাড়েন। নিভে যায় ফ্লাডলাইট। অনেক খেলোয়াড়ও উঠে পড়েন বাসে। তখন সবাইকে ফের ফিরিয়ে আনা হয় মাঠে। জানানো হয়, গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন নির্ধারিত হবে টাইব্রেকারে! যেহেতু দুই দলের গোল ব্যবধান ও কার্ড সংখ্যা (দুটি করে) সমান ছিল।
টাইব্রেকারে স্বাধীনতার হয়ে গোল করতে পারেননি সেলিম রেজা ও সজল ইসলাম এবং মোহামেডানের হয়ে ব্যর্থ হন এরন জন রেয়ারডন। তবে হারলেও গ্রুপের রানার্সাপ হিসেবে শেষ আটে উঠেছে স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘ।
নিয়ম বহির্ভুতভাবে সূচি পরিবর্তন এবং কমলাপুরের টার্ফ খেলার উপযোগী নয়-এই দুটি কারণ জানিয়ে প্রতিযোগিতা শুরুর আগে না খেলার সিদ্ধান্ত জানিয়ে বাফুফেকে চিঠি দিয়েছিল কিংস। টার্ফ নিয়ে আপত্তি তুলে না খেলার কথা ঘরোয়া ফুটবলের নিয়ন্তা সংস্থাকে জানিয়েছিল উত্তর বারিধারাও। দুই দলকেই সোমবার আগামী ফেডারেশন কাপের জন্য নিষিদ্ধ এবং ৫ লাখ টাকা করে করেছে বাফুফের ডিসিপ্লিনারি কমিটি।
ডিসিপ্লিনারি কমিটি সোমবার তাদের সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। বাইলজ অনুযায়ী স্বাধীনতা ও আবাহনী যথাক্রমে কিংস ও উত্তর বারিধারার বিপক্ষে ৩-০ গোলে জয় এবং পূর্ণ ৩ পয়েন্ট পাবে।
তিন দলের মধ্যে কিংস সরে দাঁড়ানোয় মোহামেডান ও স্বাধীনতার কোয়ার্টার-ফাইনাল নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। দেখার ছিল গ্রুপ সেরা হয় কোন দল। ৩৯ মিনিটে সাহেদ মিয়ার কর্নারে হেডে লক্ষ্যভেদ করেন মালির ফরোয়ার্ড সুলেমান দিয়াবাতে। পরের মিনিটে দুই ডিফেন্ডারের মাঝ দিয়ে রাসেল আহমেদের থ্রু পাস ধরে বক্সে ঢুকে ডান পায়ের প্লেসিং শটে সমতা ফেরান নেদো তুরকোভিচ। নির্ধারিত সময়ে কোনো দলই আর গোল পায়নি।
এদিকে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র ও উত্তর বারিধারার। কিন্তু টার্ফ নিয়ে আগেই অভিযোগ তুলে উত্তর বারিধারা টুর্নামেন্ট থেকে নিজেদের নাম প্রত্যাহার শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র বাইলজ অনুযায়ী ৩-০ গোলে জয় পেয়েছে।