দলের টানা ব্যর্থতার দায়ে গত ২১ নভেম্বর ইউনাইটেডের কোচের চাকরি হারান উলে গুনার সুলশার। এরপর গত ২৯ নভেম্বর চলতি মৌসুমের বাকি সময়ের জন্য ৬৩ বছর বয়সী রাংনিককে দায়িত্ব দেয় ইউনাইটেড। ২০২১-২২ মৌসুম শেষে পরবর্তী দুই বছর ক্লাবটির পরামর্শক হিসেবে কাজ করবেন ৬৩ বছর বয়সী এই কোচ।
রাংনিক ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে আসার পর তার কোচিংয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে তিন ম্যাচে অপরাজিত রয়েছে ইউনাইটেড। তবে প্রিমিয়ার লিগে কোভিডের ছোবলে স্থগিত হয়েছে ব্রেন্টফোর্ড ও ব্রাইটন অ্যান্ড হোভ অ্যালবিয়নের বিপক্ষে ম্যানচেস্টারের দলটির ম্যাচ দুটি। সবশেষ খেলেছে তারা গত ১১ ডিসেম্বর।
১৯৮০ এর দশকের শুরুর দিকে কোচিং ক্যারিয়ারে পা রাখা রাংনিক মূলত দলকে ‘কাউন্টার-প্রেসিং’ স্টাইলে খেলাতে পছন্দ করেন। ফুটবলের এই ধরনে পজেশন হারানোর পর দলগুলো যত দ্রুত সম্ভব বল দখলে নেওয়ার জন্য প্রতিপক্ষের ওপর চাপ প্রয়োগ করে।
“আমরা ইতিমধ্যে তার (খেলার ধরনের) সঙ্গে মানিয়ে নিতে শুরু করেছি। এটি সবে শুরু, তবে আমরা সবাই ইতিবাচক এবং আমরা ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে আছি।”
“আমরা তার ধারণা এবং তিনি কীভাবে খেলাতে চান তা বুঝতে পারি। ধীরে ধীরে আমরা সেখানে থাকবে যেখানে তিনি আমাদের দেখতে চান... আমাদের অবশ্যই শারীরিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে এবং কৌশলগতভাবে ভালো খেলতে হবে।”
অভিজ্ঞতা দিয়েই কোচের চাওয়া পূরণ করতে চান মাতিচ।
“নতুন ক্লাবে আসা প্রত্যেক কোচের মানিয়ে নেওয়ার জন্য কিছু সময় প্রয়োজন। আমরা কিছু সময় নেব কিন্তু আমাদের দলে যথেষ্ট প্রতিভাবান খেলোয়াড় আছে যারা দ্রুত রপ্ত করতে পারে এবং তিনি আমাদের যেভাবে খেলাতে চান সেভাবে খেলতে পারে।”
প্রিমিয়ার লিগে আগামী সোমবার নিউক্যাসল ইউনাইটেডের বিপক্ষে মাঠে নামবে রাংনিকের দল।
লিগে ১৬ ম্যাচে ২৭ পয়েন্ট নিয়ে ইউনাইটেড আছে ছয় নম্বরে। দুই ম্যাচ বেশি খেলা ম্যানচেস্টার সিটি ৪৪ পয়েন্ট নিয়ে আছে শীর্ষে।