ডিসেম্বর মাসে ক্লাবগুলোতে কোভিড-১৯ পজিটিভের সংখ্যা বাড়তে থাকায় স্থগিত হয়েছে একের পর এক ম্যাচ। সবশেষ স্থগিত হয় আগামী রোববারের লিভারপুল-লিডস ইউনাইটেড ও উলভারহ্যাম্পটন ওয়ানডারার্স-ওয়াটফোর্ডের ম্যাচ। সব মিলিয়ে স্থগিত হওয়া ম্যাচের সংখ্যাটা ১২।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে করোনাভাইরাসের ছোবলে সবচেয়ে বিপর্যস্ত ছিল টটেনহ্যাম হটস্পার। দল সাজানোর মতো অবস্থায়ই ছিল না তারা। এরই মধ্যে লিগে তাদের দুটি ম্যাচ স্থগিত হয়ে গেছে।
চলতি মাসে লিগের ঠাসা সূচির মাঝে দলগুলোকে অংশ নিতে হচ্ছে লিগ কাপেও। ফলে প্রশ্ন উঠছে খেলোয়াড়দের পর্যাপ্ত বিশ্রামের বিষয়টি নিয়ে।
এরই প্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার ইংল্যান্ডের শীর্ষ লিগের কোচরা প্রিমিয়ার লিগ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে ব্যস্ত সূচির চাপে থাকা খেলোয়াড়দের নিয়ে তাদের উদ্বেগের কথা জানান।
আগামী রোববার লিগে ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে মাঠে নামবে টটেনহ্যাম। শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে কন্তে বলেন, তাদের কোনো প্রস্তাবই গ্রহণ করা হয়নি কারণ লিগ কতৃপক্ষ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আগেই ঠিক করে রেখেছিল।
“আমাকে সত্যটা বলতে হবে, আমি মনে করি, এটি এমন একটি বৈঠক ছিল, যেখানে আমরা কথা বলার চেষ্টা করেছি, এবং কিছু কোচ কথা বলার ও সমাধান সম্পর্কে জিজ্ঞেস করার চেষ্টা করেছিলেন।”
“কিন্তু আমি মনে করি সব সিদ্ধান্ত আগেই নেওয়া হয়েছিল। আমার মতে গতকালকের (বৃহস্পতিবার) বৈঠক একটি দেয়াল ছিল এবং এই কারণে আমি আলোচনায় যেতে চাই না।”
সাবেক চেলসি কোচ মনে করেন, আলোচনাটি সময়ের অপচয় ছাড়া আর কিছুই ছিল না।
“(এটা সময়ের অপচয় কি-না?) আমি তাই মনে করি, কারণ যখন আপনার সামনে একটি প্রাচীর থাকে, আপনি যা চান তা জিজ্ঞেস করতে এবং বলতে পারেন….তবে প্রতিটি সিদ্ধান্ত আগেই নেওয়া হয়েছিল।”
এর আগে ম্যানচেস্টার সিটি কোচ পেপ গুয়ার্দিওলা পরিবর্তন আনতে প্রিমিয়ার লিগের ওপর চাপ বাড়াতে খেলোয়াড়দের আন্দোলনে যাওয়ার প্রস্তাব দেন।