লিগ ওয়ানে বুধবার পিএসজি সমতাসূচক গোলটি পায় ম্যাচের একবারেই শেষ মুহূর্তে, যোগ করা সময়ে। মাউরো ইকার্দির হেডে ১-১ ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে তারা।
অনেকের চোখে ভাগ্যের জোরে লরিঁয়র বিপক্ষে এই ম্যাচে পয়েন্ট নিয়ে ফিরতে পেরেছে পিএসজি। কিন্তু ম্যাচ শেষে ফরাসি টেলিভিশন কেনাল প্লাসকে পচেত্তিনো জানান, কঠিন চেষ্টায় এই ফল পেয়েছে তার দল।
“মিরাকল? কেন মিরাকল? আমরা খুব ভালো একটি গোল করেছি, যেটা আমার মনে হয় আগেই প্রাপ্য ছিল আমাদের। দ্বিতীয়ার্ধে আমরা অনেক সুযোগ পেয়েছি। আমার মনে হয়, লরিঁয়কে সম্মান দেখাতেই হবে, তারা লিগ ওয়ানের দল।”
ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই সুযোগ পায় পিএসজি, কিন্তু নুনো মেন্দেসের নিচু ক্রসে ডি-বক্সে শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি ইকার্দি। ২৬তম মিনিটে লিওনেল মেসির শট পোস্টে লাগে।
পিএসজির আক্রমণের মাঝে ৪০ মিনিটে গোল করে বসে স্বাগতিক লরিঁয়। গোলের খোঁজে থাকা সফরকারীরা দ্বিতীয়ার্ধে ৫৬ মিনিটে পায় সমতা ফেরানোর সুবর্ণ সুযোগ। কিন্তু ডি-বক্সে মেসির পাস ফাঁকায় পেয়ে অবিশ্বাস্যভাবে উড়িয়ে মারেন আনহেল দি মারিয়া।
অনেক সুযোগ তৈরি করেও গোল না পাওয়ার হতাশার কথা বললেন পচেত্তিনো।
“মাউরোর সুযোগটি দিয়ে আমরা ভালো শুরু করেছিলাম, এরপর আমরা আর ঠিক জায়গায় থাকতে পারিনি। প্রতিবার বল হারিয়ে আমরা লরিঁয়কে দ্রুত ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ করে দিয়েছি।”
একে তো মিলছিল না গোল, সঙ্গে পিএসজি হারাল সের্হিও রামোসকে। দ্বিতীয়ার্ধে বদলি হিসেবে মাঠে নামা স্প্যানিশ ডিফেন্ডার লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন। তারপরও ঠিকই শেষ পর্যন্ত হার এড়াতে পেরেছে পিএসজি।
তবে পচেত্তিনো বললেন, তাদের আরও ভালো করার এখনও অনেক জায়গা আছে।
“আমাদের প্রথমার্ধের খেলা ভালো ছিল না। সের্হিও (রামোস) দ্বিতীয়ার্ধে নেমেছিল, কারণ আমরা তিনজন সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার নিয়ে খেলতে চেয়েছি, যাতে দুই পাশ দিয়ে আক্রমণে ছন্দ বাড়ানো যায়।”
“দ্বিতীয়ার্ধে আমরা ভালো খেলেছি, অনেক সুযোগ তৈরি করেছি এবং আমরা আরও গোল করতে পারতাম। ফলাফল এখনকার জন্য সামঞ্জস্যপূর্ণ। তবে আমরা এখনও ভালো করতে পারি।”
১৯ ম্যাচে ১৪ জয় ও চার ড্রয়ে ৪৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে পিএসজি। সমান ৩৩ পয়েন্ট নিয়ে নিস দুইয়ে, মার্সেই তিনে আছে। মার্সেই অবশ্য এক ম্যাচ কম খেলেছে।