বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে (বাফুফে) বৃহস্পতিবার প্রতিযোগিতার ড্র অনুষ্ঠিত হয়। ‘এ’ গ্রুপে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কিংসের সঙ্গে আছে এ প্রতিযোগিতার ১০টি শিরোপা জেতা মোহামেডান। ২০০৯ সালে সবশেষ ফেডারেশন কাপের স্বাদ পেয়েছিল তারা।
বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগের সেরা হয়ে এবারই প্রথম প্রিমিয়ার লিগে উঠে এসেছে স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘ। কিংস ও মোহমেডানের গ্রুপে পড়ায় তাদের পথটাই সবচেয়ে কঠিন।
‘বি’ গ্রুপে আবাহনীর সঙ্গে আছে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র ও উত্তর বারিধারা। ২০১২ সালে ঘরোয়া ট্রেবল জয়ের পথে শেখ রাসেল প্রথম ও শেষ এ শিরোপার স্বাদ পেয়েছিল। ১১টি শিরোপা নিয়ে ফেডারেশন কাপের রেকর্ড শিরোপধারী আবাহনী ২০১৮ সালে বসুন্ধরা কিংসের কাছে মুকুট হারায়।
টুর্নামেন্টের সব ম্যাচ আয়োজিত হবে কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহি মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে। উত্তর বারিধারা ও মুক্তিযোদ্ধা টার্ফে খেলা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে বলে ড্র অনুষ্ঠানে জানান বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী।
“উত্তর বারিধারা ও মুক্তিযোদ্ধা এই মাঠে না খেলতে চিঠি দিয়েছে। বাকি কোন দলের আপত্তি নেই। বসুন্ধরা কিংস বলেছে এই মাঠে খেলতে আপত্তি নেই তবে লিগে যেন ঘাসের মাঠে খেলায়।”
লিগের ১২টি ক্লাবকে তিন দল করে চারটি গ্রুপে ভাগ করা হয়। টুর্নামেন্ট শুরু হবে ২৫ ডিসেম্বর, গ্রুপ পর্বের ম্যাচ শেষ হবে ৩০ ডিসেম্বর। চারটি কোয়ার্টার ফাইনাল হবে ১ ও ২ জানুয়ারি, দুই সেমি-ফাইনাল হবে ৫ জানুয়ারি এবং ফাইনাল মাঠে গড়াবে ৮ জানুয়ারি।
প্রাইজমানি চ্যাম্পিয়ন ৫ লাখ ও রানার্সাপ তিন লাখ।
গ্রুপ `এ’- বসুন্ধরা কিংস, মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব, স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘ
গ্রুপ ‘বি’- আবাহনী লিমিটেড, শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র, উত্তর বারিধারা
গ্রুপ ‘সি’- সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব, চিটাগাং আবাহনী, বাংলাদেশ পুলিশ এফসি
গ্রুপ ‘ডি’- শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব, রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটি, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র