কাম্প নউয়ে শনিবার লা লিগায় পয়েন্ট টেবিলের নিচের দিকের দল এলচেকে ৩-২ গোলে হারিয়েছে কাতালান ক্লাবটি। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে তিন ম্যাচ পর জয়ের দেখা পেল বার্সেলোনা।
ফেররান হুতগ্লার গোলে তারা এগিয়ে যাওয়ার পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন গাভি। দ্বিতীয়ার্ধে এক মিনিটের ব্যবধানে তেতে মরেন্তে ও পেরে মিইয়া গোল করলে আবারও পয়েন্ট হারানোর শঙ্কা জাগে বার্সেলানা। তবে শেষ দিকে নিকোলাস গনসালেসের লক্ষ্যভেদে তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ে তারা।
কোনো কিছুতেই যেন কিছু হচ্ছে না। অনেক ম্যাচে আক্রমণে আধিপত্য করলেও ফিনিশিংয়ের ব্যর্থতায় মিলছে না জয়। হতাশার পথচলায় আরও একবার নতুন শুরুর খোঁজে নামা বার্সেলোনা এবার শুরুটা করে দারুণ। প্রথম ২০ মিনিটেই দুই গোলে এগিয়ে যায় তারা।
তিন মিনিট পর একক নৈপুণ্যে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন গাভি। সতীর্থের পাস নিয়ন্ত্রণের নেওয়ার মাঝেই সঙ্গে লেগে থাকা প্রতিপক্ষের একজনকে এড়িয়ে দ্রুত এগিয়ে গেলেন তরুণ এই স্প্যানিয়ার্ড। আরেকজনকে কাটিয়ে ডি-বক্সে ঢুকেই ডান পায়ের কোনাকুনি শটে ঠিকানা খুঁজে নেন ১৭ বছর বয়সী মিডফিল্ডার।
২৪তম মিনিটে ওয়ান-অন-ওয়ানে উড়িয়ে মেরে দারুণ সুযোগ নষ্ট করেন এলচের এনজো রোকো। তিন মিনিট পর হুতগ্লার শট ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে ব্যবধান বাড়তে দেননি সফরকারী গোলরক্ষক।
মুহূর্তেই দিক হারিয়ে বসা স্বাগতিকরা পরপর দুই মিনিটে দুই গোল হজম করে বসে।
৬২তম মিনিটে ডি-বক্সে ঢুকে ডান পায়ের বুলেট গতির শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন মরেন্তো। বল নাগালের মধ্যে থাকলেও হাত বাড়ানোর সময়ই পাননি মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগেন। পরের মিনিটে ডান দিকের বাইলাইন থেকে দূরের পোস্টে দারুণ ক্রস বাড়ান প্রথম গোলদাতা। ফাঁকায় বল পেয়ে বিনা বাধায় হেডে স্কোরলাইন ২-২ করেন পেরে মিইয়া।
৭২তম মিনিটে হুতগ্লাকে তুলে গনসালেসকে নামান কোচ শাভি। ২৩ বছর বয়সী এই আর্জেন্টাইনই এনে দেন জয়সূচক গোল। ডি-বক্সে গাভির পাস ধরে জোরালো শটে দলকে উচ্ছ্বাসে ভাসান তিনি।
লিগে ১৭ ম্যাচে বার্সেলোনার এটি সপ্তম জয়। সঙ্গে ছয় ড্রয়ে ২৭ পয়েন্ট নিয়ে সপ্তম স্থানে উঠেছে তারা।
সমান ম্যাচে ৪২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে রিয়াল মাদ্রিদ। ১৮ ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে ১৬ নম্বরে এলচে।