কাম্প নউয়ে বুধবার আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বুটজোড়া তুলে রাখার ঘোষণা দেন আগুয়েরো। হৃদযন্ত্রের স্পন্দন জটিলতা সংক্রান্ত রোগের কারণে ইতি টানেন ১৮ বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ারের।
আর্জেন্টিনার অনূর্ধ্ব-২০ দল থেকে একসঙ্গে খেলছেন মেসি ও আগুয়েরো। ২০০৮ সালে বেইজিং অলিম্পিকে ফুটবলে আর্জেন্টিনা সোনার পদক জয়ী দলের সদস্য ছিলেন দুজন। গত জুন-জুলাইয়ে কোপা আমেরিকায় আর্জেন্টিনার ২৮ বছরের শিরোপা খরা কাটানোর অভিযানেও একসঙ্গে মাঠ মাতান তারা।
গত গ্রীষ্মের দলবদলে সিটি থেকে বার্সেলোনায় যোগ দেন আগুয়েরো। অন্যতম কারণ হিসেবে বলেছিলেন ক্লাব পর্যায়েও মেসির সঙ্গে খেলার ইচ্ছার কথা। তবে কাতালান দলটির সঙ্গে নতুন চুক্তির প্রক্রিয়া ভেস্তে গেলে সাতবারের বর্ষসেরা ফুটবলার যোগ দেন পিএসজিতে। ফলে একই ক্লাবে দুজনের আর খেলা হয়ে ওঠেনি।
আগুয়েরোর অবসরের ঘোষণার পর ইনস্টাগ্রামে দীর্ঘ পোস্টে প্রিয় বন্ধুর সঙ্গে কাটানো সুন্দর মুহূর্তগুলো স্মরণ করেছেন মেসি। সাবেক ম্যানচেস্টার সিটি তারকার এভাবে আগেভাগেই ফুটবল থেকে বিদায়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন তিনি।
“প্রায় পুরো ক্যারিয়ারই একসঙ্গে, কুন (সের্হিও আগুয়েরো)... আমাদের অসাধারণ কিছু মুহূর্ত আছে এবং আরও কিছু মুহূর্ত অতটা দারুণ না হলেও সময়গুলো আমাদের আরও ঘনিষ্ঠ করেছে। আমরা ভালো বন্ধু হয়ে উঠেছি। মাঠের বাইরেও আমাদের এই সম্পর্ক বজায় থাকবে।”
“মাত্র কয়েক মাস আগে কোপা আমেরিকা জয়ের আনন্দময় মুহূর্ত, সঙ্গে ইংল্যান্ডে তুমি যা অর্জন করেছো... এবং সত্যিটা এই যে, তুমি যে কাজটা করতে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসো সেটাই আজ বন্ধ করতে হলো তা দেখে অনেক কষ্ট লাগছে।”
জীবনের নতুন পথচলায় আগুয়েরোর প্রতি শুভকামনা জানিয়েছেন মেসি। পাশাপাশি লিখেছেন, জাতীয় দলে বন্ধুর শূন্যতা অনুভব করবেন তিনি।
“আমি নিশ্চিত যে তুমি সুখী থাকবে। কারণ, তুমি এমন একজন মানুষ যে আনন্দের দীপ্তি ছড়িয়ে দেয় এবং আমরা যারা তোমাকে ভালোবাসি, তোমার পাশেই থাকব। এখন তোমার জীবনের একটি নতুন অধ্যায় শুরু হচ্ছে এবং আমি নিশ্চিত যে, তুমি সেটা একই উদ্দীপনার সঙ্গে হাসিমুখে উপভোগ করবে।”
“জীবনের নতুন অধ্যায়ে তোমাকে শুভকামনা! আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি বন্ধু। তোমার সঙ্গে মাঠে এবং জাতীয় দলে কাটানো সময়টা অনেক মিস করব।”