কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার প্রথম সেমি-ফাইনালে ২-০ গোলে জিতে আবাহনী। প্রথমার্ধে কলিনদ্রেস দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন জীবন।
ম্যাচজুড়ে আক্রমণে এগিয়ে থাকা সাইফ স্পোর্টিং প্রথম মিনিটেই ভালো সুযোগ পায়। কিন্তু নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড এমফন সানডে উদোহর কাট ব্যাক পেয়ে বক্সের ভিতরে অরক্ষিত থাকলেও মারাজ হোসেন দুর্বল শটে পরাস্ত করতে পারেননি গোলরক্ষক মাহফুজ হাসান প্রীতমকে।
চতুর্দশ মিনিটে আবারও সুযোগ নষ্ট হয় সাইফ স্পোর্টিংয়ের। মাঝ মাঠ থেকে নাসিরুল ইসলামের বুদ্ধিদীপ্ত উঁচু ক্রস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বক্সে ঢুকে কাট-ব্যাক করেন উদোহ, কিন্তু বক্সের ভিতরে তালগোল পাকিয়ে বলের নিয়ন্ত্রণই নিতে পারেননি আসরোর গফুরোভ। এরপর উদোহও হতাশ করেন লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নিয়ে।
২৫তম মিনিটে কলিনদ্রেসের দারুণ ফ্রি কিকে এগিয়ে যায় ১৯৯০ সালে প্রথম এবং সবশেষ এই শিরোপা জেতা আবাহনী। প্রায় ২২ গজ দূর থেকে কোস্টা রিকার এই ফরোয়ার্ডের ডান পায়ের ফ্রি কিক রক্ষণ দেয়ালের উপর দিয়ে ঠিকানা খুঁজে নেয়। ঝাঁপিয়ে পড়েও নাগাল পাননি গোলরক্ষক মিতুল হোসেন।
৩৮তম মিনিটে কলিনদ্রেসের ফ্রি কিকে জীবনের হেড বাইরে গেলে ব্যবধান দ্বিগুণ হয়নি। চার মিনিট পর প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারদের ভুলে বল পেয়ে মেরাজ হোসেন অপির নেওয়া শট সরাসরি আবাহনী গোলরক্ষক প্রীতমের গ্লাভসে জমে যায়।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ডান দিক দিয়ে বক্সে ঢুকে টোকায় চেষ্টা করেন আবাহনীর রাকিব হোসেন, কিন্তু বল উড়ে যায় ক্রসবারের উপর দিয়ে।
দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলের খেলায় গতি কমে কিছুটা। কার্যকরী ফরোয়ার্ড না থাকায় ভুগতে থাকে সাইফ স্পোর্টিং। ৬৮তম মিনিটে উদোহর থ্রো ইনে মারাজের ফ্লিক জমে যায় প্রীতমের গ্লাভসে।
৮১তম মিনিটে আরেকটি ফ্রি কিক থেকে জয় অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যায় আবাহনীর। ডান দিক থেকে কলিনদ্রেসের গোলমুখে নেওয়া ফ্রি কিক নিখুঁত টোকায় জালে জড়িয়ে দেন জীবন।
দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে দুর্বল শটে মেহেদী হাসানও গোলরক্ষকের হাতে তুলে দিয়ে নষ্ট করেন ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ। এরপর ফয়সাল আহমেদ ফাহিমের শট সরাসরি প্রীতমের কাছে গেলে হারের হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় সাইফ স্পোর্টিংকে।
২০১৬ সালে সবশেষ স্বাধীনতা কাপের ফাইনাল খেলেছিল আবাহনী। গত আসরে আকাশী-নীলরা ছিটকে গিয়েছিল সেমি-ফাইনালে বসুন্ধরা কিংসের কাছে হেরে। দুই আসর পর ফের এ প্রতিযোগিতার ফাইনালের মঞ্চে উঠল তারা।