‘আমিই সেরা, প্রমাণে ব্যালন ডি'অর দরকার নেই’

পেশাদার ফুটবলে দীর্ঘ পথচলায় দলগত ও ব্যক্তিগত অনেক অর্জনে ভরপুর জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচের ক্যারিয়ার। সেখানে বড় অপ্রাপ্তি বলতে কখনই বর্ষসেরা ফুটবলারের খেতাব না পাওয়া। তবে এটি নিয়ে তেমন কোনো আফসোস নেই সুইডিশ তারকার। তিনি মনে করেন, তার শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণে ব্যালন ডি'অর জেতার দরকার নেই।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Dec 2021, 02:40 PM
Updated : 13 Dec 2021, 02:40 PM

গত শনিবার সেরি আয় উদিনেজের বিপক্ষে ১-১ ড্রয়ের ম্যাচে শুরুতে পিছিয়ে পড়ার পর ইব্রাহিমোভিচের অ্যাক্রোবেটিক ভলিতেই হার এড়িয়েছিল এসি মিলান।

ওই গোল দিয়েই ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগে ৩০০ গোলের মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। একবিংশ শতাব্দীতে ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো ও লিওনেল মেসির পর তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে এই কীর্তি গড়েন ইব্রাহিমোভিচ।

লম্বা ক্যারিয়ারে ইব্রাহিমোভিচ খেলেছেন ইউভেন্তুস, ইন্টার মিলান, বার্সেলোনা, এসি মিলান (২০১০-১২ ও ২০২০ থেকে এখন পর্যন্ত), পিএসজি ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে। জিতেছেন সেরি আ, লা লিগা, লিগ ওয়ানসহ অসংখ্য শিরোপা।

তবে ১৯৯৯ সালে মালমোর হয়ে ক্যারিয়ার শুরু করা ইব্রাহিমোভিচের অধরাই রয়ে গেছে ফরাসি সাময়িকী ‘ফ্রান্স ফুটবল’ –এর পুরস্কার ব্যালন ডি’অর জয়ের স্বাদ।

রোববার মিলানে ইব্রাহিমোভিচের নতুন বই ‘অ্যাড্রেনালাইন’ এর উন্মোচন অনুষ্ঠানে তাকে প্রশ্ন করা হয় কখনও তার ব্যালন ডি’অর জিততে না পারা প্রসঙ্গে। জবাবে সুইডিশ তারকা বলেন, “ব্যালন ডি'অর একটি চমৎকার পুরস্কার। কিন্তু আমি যে সেরা তা প্রমাণ করার জন্য এটি জেতার প্রয়োজন নেই।”

৪০ বছর বয়সেও ইব্রাহিমোভিচ আছেন দারুণ ছন্দে। কদিন আগেই বলেন, খেলতে চান আরও অনেক দিন। এ বিষযে তার ভাবনা, দৃঢ় মানসিকতাই তাকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকতে সাহায্য করছে।

“এটি মানসিকতার ব্যাপার। আমি ম্যাচে যেভাবে খেলি অনুশীলনও সেভাবেই করি।”

“প্রতিটি দিনই একটি ফাইনাল। আমি যখন (২০২০ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে) মিলানে এসেছিলাম তখন কাজটা কঠিন ছিল, কিন্তু আমরা একটি দল হয়ে উঠেছি। আমরা এমন একটি আবহ তৈরি করেছি যা সবকিছুর শীর্ষে।”

চলতি মৌসুমে লিগে ৭টি গোল করেছেন ইব্রাহিমোভিচ। সামনের পথচলায় তার চোখ মিলানের হয়ে লিগ শিরোপা জেতার দিকে। লক্ষ্য পূরণে রাখতে চান অগ্রণী ভূমিকা।

সেরি আয় ১৭ ম্যাচে ১২ জয় ও ৩ ড্রয়ে ৩৯ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে এসি মিলান। সমান ম্যাচে ৪০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী ইন্টার মিলান।