প্রতিপক্ষের মাঠে শনিবার প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে নরিচ সিটিকে ১-০ গোলে হারিয়েছে রালফ রাংনিকের দল। জার্মান এই কোচের হাত ধরে লিগে দুই ম্যাচ খেলে দুটিই জিতল ইউনাইটেড।
দিনের আগের ম্যাচে সাউথ্যাম্পটনকে হারিয়ে পঞ্চম স্থানে ওঠে আর্সেনাল। তাদের নামিয়ে সেখানে ফিরল ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের দলটি।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গ্রুপের শীর্ষস্থান আগেই নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় গত বুধবার ইয়াং বয়েজের বিপক্ষে ১-১ ড্র ম্যাচে শুরুর একাদশে ১১টিই পরিবর্তন করেছিলেন ইউনাইটেড কোচ। লিগে ফেরার সঙ্গে আবারও ১১ পরিবর্তন করে মূল একাদশে ফিরে যান তিনি।
বিশ্রাম পেয়ে রোনালদো-ফের্নান্দেসরা চাঙা হলেও ম্যাচের প্রথম ৩০ মিনিটে তাদের আক্রমণে কোনো ধার ছিল না। চতুর্দশ মিনিটে অবশ্য গোল পেতে পারত দলটি, তবে ডি-বক্সের একটু দূর থেকে আলেক্স তেলেসের ফ্রি-কিক রক্ষণ দেয়ালে একজনের মাথায় লেগে দিক পাল্টে ক্রসবার কাঁপায়।
বিরতির ঠিক আগে আবারও গোলরক্ষকের নৈপুণ্যে বেঁচে যায় নরিচ। ছয় গজ বক্সের মুখে ঠিকমতো হেড করতে পারেননি হ্যারি ম্যাগুইয়ার, তবে বল তার মাথায় লেগে ক্রসবার ঘেঁষে জালে ঢুকতে যাচ্ছিল। শেষমুহূর্তে কোনোমতে কর্নারের বিনিময়ে ঠেকান ক্রুল।
প্রথমার্ধে আক্রমণে ধারহীন নরিচ ৫৬তম মিনিটে দারুণ একটি সুযোগ পায়। তবে ডি-বক্সের মুখ থেকে ফিনল্যান্ডের ফরোয়ার্ড তেমু পুক্কির জোরালো শটে ঝাঁপিয়ে এক হাত দিয়ে কোনোমতে বল ক্রসবারের ওপর দিয়ে পাঠান দাভিদ দে হেয়া। চার মিনিট পর অন্য পাশে মার্কাস র্যাশফোর্ডের নিচু শট পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়।
৭৫তম মিনিটে স্পট কিকে গোলটি করেন রোনালদো। ছয় গজ বক্সের মুখে তাকেই ডিফেন্ডার ম্যাক্স অ্যারন্স ফেলে দিলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। আসরে ১৩ ম্যাচে পর্তুগিজ তারকার এটি সপ্তম গোল।
দুই মিনিট পরই সমতায় ফিরতে পারত নরিচ। তবে দে হেয়ার অসাধারণ সেভে এগিয়ে থাকে ইউনাইটেড। ওজান কাবাকের হেড ঝাঁপিয়ে ফেরান স্প্যানিশ গোলরক্ষক। ৮৬তম মিনিটে ছয় গজ বক্সের মুখে ফাঁকায় বল পেয়ে অবিশ্বাস্যভাবে উড়িয়ে মারেন রোনালদো।
লিগে এ মাসের শুরুতেও বেশ খারাপ অবস্থায় ছিল ইউনাইটেড। টানা তিন ম্যাচে জয়শূন্য ছিল তারা। আট ম্যাচে জয় ছিল মাত্র একটি, পরাজয় পাঁচটি। সেই ব্যর্থতা পেছনে ফেলে টানা তিন ম্যাচ জিতল তারা।
১৬ ম্যাচে আট জয় ও তিন ড্রয়ে ইউনাইটেডের পয়েন্ট ২৭। এক ধাপ নিচে নামা আর্সেনালের পয়েন্ট ২৬।
দিনের প্রথম ম্যাচে উলভারহ্যাম্পটন ওয়ানডারার্সকে ১-০ গোলে হারানো ম্যানচেস্টার সিটি ১৬ ম্যাচে ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে।
অ্যাস্টন ভিলাকে ১-০ গোলে হারানো লিভারপুল ৩৭ পয়েন্ট নিয়ে আছে দুই নম্বরে। আর লিডস ইউনাইটেডকে ৩-২ গোলে হারানো চেলসি ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে আছে তৃতীয় স্থানে।
১৫ ম্যাচে ২৭ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরে ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেড।