কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে শনিবার নেপালের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করেছে বাংলাদেশ।
২০১৮ সালে অনূর্ধ্ব-১৮ বছর বয়সীদের নিয়ে হওয়া আসরে নেপালকে ফাইনালে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল বাংলাদেশ। তিন বছর আগে ভুটানের আসরে শিরোপা জয়ের পথে গ্রুপ পর্বেও নেপালকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। এবার দেশের মাঠে খেলা হওয়ায় প্রত্যাশা আরও বেশি, কিন্তু গোলাম রব্বানী ছোটনের দলের শুরুটা হলো না আলো ঝলমলে।
নেপালের বিপক্ষে শুরুতেই হতাশা সঙ্গী হয় বাংলাদেশের। দ্বিতীয় মিনিটে বক্সের একটু উপর থেকে আঁখি খাতুনের জোরালো শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে।
তিন মিনিট পর বিমলা বিকের ফ্রি কিক ক্লিয়ার করতে গিয়ে হেডে বল নিজেদের জালে জড়াতে বসেছিলেন শামসুন্নাহার জুনিয়র; ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে ফেরান রুপনা চাকমা। ম্যাচে এই একবারই সত্যিকার অর্থে বিপদের মুখে পড়েছিল বাংলাদেশ।
পঞ্চদশ মিনিটে মারিয়া মান্ডার ক্রসে বক্সের ভেতর থেকে শামসুন্নাহার জুনিয়রের ওভারহেড কিকে বল সরাসরি যায় গোলরক্ষকের কাছে। তিন মিনিট পর আঁখির লম্বা করে বাড়ানো বল নেপালের এক ডিফেন্ডার হেড করার পর পেয়ে যান শামসুন্নাহার জুনিয়র। আলতো টোকায় এগিয়ে নিতে গিয়ে বলের নিয়ন্ত্রণ হারান তিনি। শেষ পর্যন্ত তার দুর্বল শট ছুটে আসা গোলরক্ষকের গায়ে লেগে ফিরে।
২২ থেকে ৩২তম মিনিটের মধ্যে আরও তিনবার আক্রমণ শানায় বাংলাদেশ। কিন্তু ঋতুপর্ণা চাকমার দুটি এবং শামসুন্নাহার জুনিয়রের শট খুঁজে পায়নি ঠিকানা।
৪০তম মিনিটে চোট পেয়ে স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়েন নেপালের ফরোয়ার্ড দীপা সাহা।
দ্বিতীয়ার্ধেও মনিকা-মারিয়ারা আধিপত্য করে নেপালের রক্ষণে। কিন্তু গোলের দেখা মেলেনি। ৫৪তম মিনিটে আবারও হতাশ হতে হয় দলকে। এবার মারিয়ার কর্নার তহুরার হেডের পর ঋতুপর্নার শট গোললাইন থেকে ফেরান বিকে বিমলা।
৬২তম মিনিটে মনিকার ক্রসে মারিয়া ঠিকঠাক শট নিতে পারেননি। এরপর সময় যত গড়িয়েছে, নেপালের বক্সে গিয়ে বাংলাদেশ কেবল খেই-ই হারিয়েছে।
সবশেষ ৮৭তম মিনিটে বাংলাদেশকে হতাশ করেন অঞ্জন রানা মাগার। বক্সের বাইরে থেকে মনিকার বাঁ পায়ের শট ফিস্ট করে কোনোমতে ক্রসবারের ওপর দিয়ে বের করে দেন তিনি।
রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতির এবারের আসরে আগামী সোমবার স্বাগতিক বাংলাদেশের মুখোমুখি হবে ভুটান। দিনের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে তারা।