কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে শুক্রবার স্বাধীনতা সংঘের বিপক্ষে ২-০ গোলে জিতেছে সাইফ স্পোর্টিং। ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে তাদের প্রতিপক্ষ দিনের অন্য ম্যাচে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দেওয়া আবাহনী।
ষষ্ঠ মিনিটেই ভালো সুযোগ পেয়েছিল সাইফ স্পোর্টিং। সাজ্জাদ হোসেনের কাট ব্যাকে ফাহিমের দূর্বল শট কর্নারের বিনিময়ে ফেরান গোলরক্ষক সারোয়ার জাহান।
একাদশ মিনিটে বড় বাঁচা বেঁচে যায় সাইফ স্পোর্টিং। কর্নারে নেদো তুর্কোভিচ হেড করার পর বল পেয়ে যান ইরানি ডিফেন্ডার সিয়ামাক কুরাইশি। সাইফের তিন ডিফেন্ডার ছিলেন গোলমুখে, কুরাইশির শট গোল লাইন থেকে ফেরান ডিফেন্ডার নাসিরুল ইসলাম।
৫০তম মিনিটে জামাল ভূঁইয়ার ফ্রি কিকে উদোহর হেডে বল জালে জড়ালেও অফসাইডের কারণে গোল হয়নি। পাঁচ মিনিট পর ডি বক্সের ভেতর থেকে স্বাধীনতা সংঘের ফরোয়ার্ড রাসেল আহমেদের শট অল্পের জন্য খুঁজে পায়নি জাল। ৮৩তম মিনিটে বক্সের ভেতরে তাড়াহুড়ো করে নেওয়া উদোহর ভলি উড়ে যায়। ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।
অতিরিক্ত সময়ের সময়ের শুরুর আক্রমণ থেকে গোল তুলে নেয় সাইফ স্পোর্টিং। বাঁ দিক থেকে নিহাদ জামান উচ্ছ্বাসের ক্রসে হেডে লক্ষ্যভেদ করেন মারাজ। ১০০তম মিনিটে স্বাধীনতা সংঘের গোলরক্ষকের অমার্জনীয় ভুলে হয় ব্যবধান দ্বিগুণ। গফুরভের নিচু ক্রস নাগালের মধ্যে থাকলেও গ্লাভসে নিতে পারেননি সারোয়ার। বল তার হাতে লেগে চলে যায় সামনে থাকা ফাহিমের পায়ে। অনায়াসে ঠিকানা খুঁজে নেন এই ফরোয়ার্ড। এ অর্ধেই জিল্লুর রহমান লালকার্ড পেলে স্বাধীনতা সংঘের ঘুরে দাঁড়ানোর পথ হয়ে যায় আরও কঠিন।
বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে সেরা হয়ে প্রিমিয়ার লিগে উঠে আসায় স্বাধীনতা কাপে খেলার সুযোগ পেয়েছিল স্বাধীনতা সংঘ। ‘এ’ গ্রুপের রানার্সআপ হয়ে সেরা আটে এসে থামল তাদের পথচলা।