সেনাবাহিনীকে উড়িয়ে সেমি-ফাইনালে আবাহনী

প্রথমার্ধের শেষ দিকে চিড় ধরল বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর রক্ষণে। দ্বিতীয়ার্ধে তাদের রক্ষণ ধসিয়ে দিল আবাহনী। কলিনদ্রেস-জীবন-ইমনদের নৈপুণ্যে বড় জয়ে স্বাধীনতা কাপের সেমি-ফাইনালে উঠল মারিও লেমোসের দল।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Dec 2021, 01:24 PM
Updated : 10 Dec 2021, 01:41 PM

কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে শুক্রবার ৪-০ গোলে জিতেছে আবাহনী। ৪৫তম মিনিটে দেনিয়েল কলিনদ্রেসের গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে আরও তিনবার গোল উৎসব করে তারা। 

দুই ব্রাজিলিয়ান ও কোস্টা রিকার কলিনদ্রেসকে নিয়ে সাজানো আবাহনীর আক্রমণভাগ চিড় ধরাতে পারছিল না সেনাবাহিনীর রক্ষণে। তৃতীয় মিনিটে এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বক্সের বাইরে থেকে ব্রাজিলিয়ান দোরিয়েলতন গোমেজ নাসিমেন্তোর জোরালো শট ফেরান সেনাবাহিনী গোলরক্ষক আলমগীর হোসেন।

অষ্টম মিনিটে টুটুল হোসেন বাদশার হাস্যকর ভুলে দারুণ সুযোগ পায় সেনাবাহিনী। আবাহনীর ডিফেন্ডার ভুল পাসে বল তুলে দেন শাহরিয়ার ইমনের পায়ে, একটু এগিয়ে জায়গা করে সেনাবাহিনীল এই ফরোয়ার্ডের বাঁ পায়ের শট ক্রসবারের একটু উপর দিয়ে গেলে বেঁচে যায় প্রতিযোগিতার ১৯৯০ সালের চ্যাম্পিয়নরা।

সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে আবাহনীর আক্রমণের ধার বাড়ে। ২১তম মিনিটে রাফায়েল অগাস্তো সান্তোস দি সিলভার ক্রসে দোরিয়েলতনের ব্যাক ভলি উড়ে যায় ক্রসবারের উপর দিয়ে। ৩৩তম মিনিটে কলিনদ্রেসের শট একইভাবে উড়ে যায়। চার মিনিট পর দি সিলভার কাট ব্যাকে শট নিতে পারেননি ফাঁকায় থাকা রাকিব হোসেন।

৪১তম মিনিটে আরেকটি ভালো সুযোগ নষ্টের হতাশা সঙ্গী হয় আবাহনীর। কলিনদ্রেসের ক্রসে দোরিয়েলতনের হেড আলমগীর ঝাঁপিয়ে ঠিকমতো ক্লিয়ার করতে পারেননি,ফিরতি বলে রাকিবও পারেননি লক্ষ্যভেদ করতে।

এর একটু পর গোলের অপেক্ষা ফুরায় আবাহনীর। ৪৫তম মিনিটে মাঝমাঠ থেকে  অগাস্তোর ক্রস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দেখে-শুনে ডান পায়ের দারুণ কোনাকুনি শটে দূরের পোস্ট দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন কলিনদ্রেস। আবাহনীর জার্সিতে এই প্রথম গোল পেলেন ৩৬ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড।

দ্বিতীয়ার্ধে দোরিয়েলতনের জায়গায় নাবীব নেওয়াজ জীবনকে নামান আবাহনী কোচ। ৫৭তম মিনিটে কলিনদ্রেসের আড়াআড়ি ক্রসে ছোট ডি-বক্সের একটু উপর থেকে গোলরক্ষক বরাবর শট নিয়ে ব্যবধান দ্বিগুণের সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেন এই ফরোয়ার্ড।

৬৭তম মিনিটে আর হতাশ করেননি জীবন। বাঁ দিক থেকে কলিনদ্রেসের আড়াআড়ি ক্রসে হেডে লক্ষ্যভেদ করেন ৩১ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড। তিন মিনিট পর বক্সের ঠিক বাইরে থেকে কলিনদ্রেসের বাঁকানো ফ্রি কিকে বল সরাসরি জালে জড়ায়। বড় জয়ের পথে ছুটতে থাকে আবাহনী।

৭৬তম মিনিটে দি সিলভার পাস ধরে বক্সে ঢুকে লব করে গোলমুখে বল বাড়ান রাকিব। আনমার্কড থাকা ইমন মাহমুদ বাবুর হেডে পরাস্ত সেনাবাহিনী গোলরক্ষক। এ গোলেই তাদের ঘুরে দাঁড়ানোর আশা শেষ হয়ে যায়।

৮১তম মিনিটে রাকিবকে মারাত্মক ফাউল করে সরাসরি লালকার্ড দেখেন সেনাবাহিনীর ডিফেন্ডার হুমায়ন কবির খান।

স্বাধীনতা কাপে এবার ‘অপেশাদার’ দল হিসেবে সেনাবাহিনী, বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও বাংলাদেশ বিমানবাহিনী অংশ নেয়। নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর বিদায়ঘণ্টা বাজে গ্রুপ পর্বেই। ‘সি’ গ্রুপের রানার্সআপ হয়ে সেরা আটে উঠে চমক দেখায় সেনাবাহিনী। তাদের পথচলা থামল এবার।