বসুন্ধরার জয়ে কোয়ার্টার-ফাইনালে পুলিশ এফসিও

কোয়ার্টার-ফাইনাল আগেই নিশ্চিত হওয়ায় চট্টগ্রাম আবাহনীর বিপক্ষে নিয়মিত একাদশের আট জনকে বাইরে রেখে দল সাজান বসুন্ধরা কিংস কোচ অস্কার ব্রুসন। তাতে অবশ্য তাদের দাপুটে পারফরম্যান্সে তেমন কোনো কমতি আসেনি। ‘বেঞ্চের’ শক্তি দেখিয়ে বড় জয় নিয়েই স্বাধীনতা কাপের গ্রুপ পর্ব শেষ করল শিরোপাধারীরা।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Dec 2021, 02:36 PM
Updated : 8 Dec 2021, 02:36 PM

কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে বুধবার ‘ডি’ গ্রুপের ম্যাচে চট্টগ্রাম আবাহনীকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে কিংস। ৯ পয়েন্ট নিয়ে সেরা আটে উঠেছে তারা।

কিংসের জয়ে কপাল খুলেছে দিনের অন্য ম্যাচে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বিপক্ষে ১-১ ড্র করা পুলিশ এফসির। দুই ড্রয়ে ২ পয়েন্ট নিয়েই সেরা আটে উঠেছে তারা।

তিন ম্যাচে পুলিশের মতো ২ করে পয়েন্ট বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও চট্টগ্রাম আবাহনীরও। কিন্তু গোল পার্থক্যে পিছিয়ে থাকায় গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে গেছে এই দুই দল।

ষষ্ঠ মিনিটে ম্যাচের প্রথম ভালো সুযোগটি পায় চট্টগ্রাম আবাহনী। কিন্তু ডান দিক দিয়ে আক্রমণে ওঠা নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড এবিমোবোই থ্যাঙ্কগড পিটার গোলরক্ষক সুলতান আহমেদ বরাবর শট নেন।

২২তম মিনিটে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রবসন দি সিলভা রবিনিয়োর জোরালো কোনাকুনি শটে এগিয়ে যায় কিংস। বলের লাইনে ঝাঁপিয়ে পড়লেও আটকাতে পারেননি আজাদ হোসেন। বল তার হাতের নিচ দিয়ে খুঁজে নেয় ঠিকানা।

তিন মিনিট পর সমতায় ফেরার সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট হয় চট্টগ্রাম আবাহনীর। থ্যাঙ্কগড বলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার আগে তা ক্লিয়ার করতে গিয়ে রুবেল মিয়ার পায়ে তুলে দেন কিংস গোলরক্ষক সুলতান। ফাঁকা পোস্ট পেয়েও বাইরে মেরে সুযোগ হেলায় হারান রুবেল।

৩৬তম মিনিটে ফ্রি কিকের আগ মুহূর্তে পজিশন নিতে গিয়ে এলিটা কিংসলেকে কনুই দিয়ে সজোরে আঘাত করে বসেন থ্যাঙ্কগড। দুই পক্ষের মধ্যে দেখা দেয় উত্তেজনা। রেফারি থ্যাঙ্কগডকে দেন হলুদ কার্ড।

প্রথমার্ধের শেষ দিকে বক্সের মধ্যে ফাঁকায় বল পেলেও চট্টগ্রাম আবাহনীর নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড কেহিন্দে ইসা দুর্বল শটে বল তুলে দেন সুলতানের হাতে।

দ্বিতীয়ার্ধেও ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ পেয়েছিল চট্টগ্রাম আবাহনী। কিন্তু ৫৩তম মিনিটে রুবেলের ক্রসে মাথা ছোঁয়াতে পারেননি থ্যাঙ্কগড। ৭২তম মিনিটে রবিনিয়োর দারুণ থ্রু পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে গোলরক্ষক বরাবর মেরে ব্যবধান দ্বিগুণের সুযোগ নষ্ট করেন ফরোয়ার্ড মাহবুবুর রহমান সুফিল।

শেষ ১০ মিনিটের দুই গোলে চট্টগ্রাম আবাহনীর আশা শেষ হয়ে যায়। ৮০তম মিনিটে স্তইয়ান ভ্রানিয়াসকে আটকাতে পোস্ট ছেড়ে আসা আজাদ বক্সের একটু ওপরে বল ধরে লাল কার্ড দেখেন। বসনিয়া-হার্জেগোভিনার এই ফরোয়ার্ডেরই ফ্রি কিক ফেরান বদলি গোলরক্ষক শেখ সাইফুল ইসলাম; কিন্তু বদলি নামা মোহাম্মদ ইব্রাহিমের ফিরতি শট আটকাতে পারেননি তিনি।

৮৮তম মিনিটে রবিনিয়োর পাস ধরে বক্সে ঢুকে গোলরক্ষককে কাটিয়ে কোনাকুনি শটে লক্ষ্যভেদ করেন বদলি ফরোয়ার্ড মতিন মিয়া। তাতে বন্দরনগরীর দলটি বিদায় ঘণ্টা বেজে যায়।

এ ম্যাচ দিয়ে শেষ হলো গ্রুপ পর্ব। নির্ধারিত হয়ে গেল কোয়ার্টার-ফাইনালের লাইনআপও। সেরা আটে আগামী শুক্রবার মুখোমুখি হবে আবাহনী-বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব-স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘ। রোববার লড়বে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র-বাংলাদেশ পুলিশ ও কিংস-শেখ জামাল।