প্যারিসে মঙ্গলবার রাতে ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচটি ৪-১ গোলে জিতেছে আগেই নকআউটের টিকেট নিশ্চিত করা পিএসজি। মেসি ও এমবাপে করেন দুটি করে গোল।
শেষ রাউন্ডে গ্রুপের আরেক ম্যাচে লাইপজিগের কাছে ২-১ গোলে হেরেছে ম্যানচেস্টার সিটি। তবে আগের রাউন্ডেই পিএসজিকে হারিয়ে গ্রুপ সেরা হয়ে শেষ ষোলোয় খেলা নিশ্চিত হয়েছিল ইংলিশ দলটির।
পিএসজির তাই শেষ রাউন্ড থেকে পাওয়ার তেমন কিছু ছিল না। তবে জয় দিয়ে শেষ করতে পারায় আত্মবিশ্বাস নিশ্চিতভাবেই বেড়ে গেল তাদের। ঘরোয়া লিগে সবশেষ দুই ম্যাচে ড্রয়ের পাশাপাশি চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও আগের দুই রাউন্ডে জয়হীন ছিল প্যারিসের দলটি।
ব্রুজের বিপক্ষে প্রথম ৭ মিনিটের মধ্যেই এমবাপের দুই গোলে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ অনেকটাই মুঠোয় নেয় পিএসজি।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এটি এমবাপের ৩০তম গোল। প্রতিযোগিতাটির ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সী (২২ বছর ৩৫২ দিন) খেলোয়াড় হিসেবে এই মাইলফলক স্পর্শ করলেন বিশ্বকাপ জয়ী তারকা। আগের রেকর্ডটা ছিল মেসির, ২৩ বছর ১৩১ দিন বয়সে ৩০ গোল করেছিলেন সাবেক বার্সেলোনা তারকা।
একটু পরই গোলের সংখ্যাটা বাড়িয়ে নেন এমবাপে। আনহেল দি মারিয়ার ক্রসে ডি-বক্সে প্রথম স্পর্শে ভলিতে বল জালে পাঠান ২২ বছর বয়সী এই ফুটবলার।
দ্বাদশ মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়তে পারত। মেসির পাস থেকে দি মারিয়ার শট ঠেকান সাবেক লিভারপুল গোলরক্ষক মিনোলে।
২৪তম মিনিটে প্রথম ভালো সুযোগ পায় ব্রুজ। সিসে সান্দ্রার শট পা দিয়ে ফিরিয়ে জাল অক্ষত রাখেন গোলরক্ষক জানলুইজি দোন্নারুম্মা।
একটু পর পাঁচ মিনিটের মধ্যে মেসির দুটি প্রচেষ্টা রুখে দেয় সফরকারীরা। প্রথমটায় শট নিতে একটু দেরি করে ফেলেন আর্জেন্টাইন তারকা। কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন ডিফেন্ডার মাতা। পরের শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান গোলরক্ষক।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রেকর্ড ৩৮টি ভিন্ন দলের বিপক্ষে গোল করলেন মেসি, বসলেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর পাশে।
বিরতির আগে হ্যাটট্রিকের সুযোগ আসে এমবাপের সামনে। মেসির পাস ধরে ওয়ান-অন-ওয়ানে উড়িয়ে মেরে হতাশ করেন তিনি।
৬৪তম মিনিটে দি মারিয়ার শট অল্পের জন্য লক্ষ্যে থাকেনি। তিন মিনিট পরই ব্যবধান কমায় ব্রুজ। সতীর্থের পাস ধরে গোলটি করেন অরক্ষিত বেলজিয়ান মিডফিল্ডার মাটস রিটস।
৭৬তম মিনিটে সফল স্পট কিকে ব্যবধান আবার বাড়িয়ে নেন মেসি। তিনি নিজেই প্রতিপক্ষের ডি-বক্সে ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।
চলতি আসরে পাঁচ ম্যাচে মেসির গোল হলো ৫টি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তার মোট গোল হলো ১২৫।
শেষ দিকে এমবাপেকে তুলে নিয়ে মাউরো ইকার্দিকে নামান পিএসজি কোচ। তবে আর গোলের পরিষ্কার সুযোগ তৈরি করতে পারেনি কেউ।
৬ ম্যাচে চার জয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ম্যানচেস্টার সিটি। তিন জয় ও দুই ড্রয়ে ১১ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে পিএসজি।
৭ পয়েন্ট নিয়ে তিনে থাকা লাইপজিগ নিশ্চিত করেছে আগামী মৌসুমে ইউরোপা লিগে খেলা। ৪ পয়েন্ট নিয়ে সবার নিচে ক্লাব ব্রুজ।