পেশাদার ফুটবলে ইব্রাহিমোভিচের অভিষেক সেই ১৯৯৯ সালে, সুইডেনের ক্লাব মালমোর হয়ে। এরপর কেটে গেছে ২২টি বছর। সুদীর্ঘ ক্যারিয়ারে খেলেছেন ইউভেন্তুস, ইন্টার মিলান, বার্সেলোনা, এসি মিলান, পিএসজি, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও লা গ্যালাক্সির হয়ে। অর্জনে ভরপুর ক্যারিয়ারে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ছাড়া জিতেছেন ক্লাব ফুটবলের সম্ভাব্য প্রায় সব শিরোপাই।
গত দুই মৌসুমে চোট বারবার আঘাত হানলেও দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন তিনি। এই বয়সে এসে জায়গা করে নিয়েছেন জাতীয় দলে। এতেই প্রমাণ হয়, ফুটবলের প্রতি তার নিবেদনে কোনো ঘাটতি নেই।
২০১৬ সালে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর নেওয়ার পর চলতি বছর তিনি আবার ফেরেন সুইডেন দলে। চোটের কারণে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ মিস করলেও সম্ভব হলে ২০২২ সালে কাতার বিশ্বকাপে খেলার ইচ্ছার কথা এ বছরের শুরুর দিকে জানান তিনি।
২০১০ থেকে ২০১২ সালে এসি মিলানে প্রথম দফায় খেলার পর কয়েকটি ক্লাব ঘুরে গত বছর ইব্রাহিমোভিচ আবার যোগ দেন ইতালিয়ান দলটিতে। এখনও আছেন সেখানেই।
“আমি অনেক দিন খেলতে চাই। আমার মধ্যে যতদিন ফুটবলের উন্মাদনা থাকবে ততদিন আমি (খেলা) চালিয়ে যাব।”
মিলানে চুক্তি বাড়ানোর জোর চেষ্টা করবেন বলেও জানালেন ইব্রাহিমোভিচ।
“আমি আশা করি ক্যারিয়ারের বাকি সময় মিলানেই থাকব। আমার এখনও (বেশ কিছু) লক্ষ্য রয়েছে যা আমি অর্জন করতে পারি এবং আমি আরেকটি সেরি আ জিততে চাই।”
ফুটবল থেকে অবসরের পর কী করবেন, এখনও সেটা নিয়ে নিশ্চিত নন ইব্রাহিমোভিচ। অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ নিয়ে না ভেবে তিনি চান বাকি সময়টা উপভোগ করতে।
“আমি জানি না ফুটবল (থেকে অবসরের) পরে কী হবে, তাই আমি অবসরে যেতে একটু ভয় পাচ্ছি। তবে আমি খেলা চালিয়ে যেতে চাই যেন (ক্যারিয়ার শেষে) আমার কোনো অনুশোচনা না হয়।”
২০২১-২২ মৌসুমে সেরি আয় ৯ ম্যাচ খেলে ইব্রাহিমোভিচ গোল করেছেন ৬টি। ১৬ ম্যাচে ১২ জয় ও দুই ড্রয়ে ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে তার দল আছে শীর্ষে।
আগামী মঙ্গলবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে 'বি' গ্রুপের ম্যাচে ঘরের মাঠে লিভারপুলের মুখোমুখি হবে মিলান। পরের রাউন্ডে যাওয়ার সম্ভাবনা বাঁচিয়ে রাখতে এই ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই তাদের।
৫ ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে এই গ্রুপ থেকে সবার আগে শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে লিভারপুল। ৫ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে পোর্তো। ৪ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বর স্থানে আছে এসি মিলান। তাদের সমান পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরে আতলেতিকো মাদ্রিদ।