কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে রোববার ‘বি’ গ্রুপে দুই ম্যাচটি ১-১ ড্র হয়েছে। তিন ম্যাচে দুই জয় ও এক ড্রয়ে ৭ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ সেরা শেখ রাসেল। এক জয় ও দুই ড্রয়ে ৫ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের রানার্সআপ শেখ জামাল।
দুই জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে ‘ডি’ গ্রুপের সেরা আগেই হয়েছিল কিংস। সেমি-ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে তাদের মুখোমুখি হতে হবে ২০১৩ সালের রানার্সআপ শেখ জামালকে।
প্রথমার্ধে দুই দলের খেলায় ছিল গতি। আক্রমণে ধারও ছিল বেশ। ২৬তম মিনিটে এগিয়ে যায় শেখ জামাল। মাঝমাঠ থেকে রাহবার ওয়াহেদ খানের পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আক্রমণে ওঠেন শাহিন মিয়া। প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডাররা কেউ চার্জ না করায় এগিয়ে যাওয়ার পথ পেয়ে যান তিনি। বক্সের উপর থেকে বাঁ পায়ের দারুণ বাঁকানো শটে আশরাফুল ইসলাম রানাকে পরাস্ত করেন শেখ জামালের এই ডিফেন্ডার।
দুই মিনিট পরই সমতার স্বস্তি ফিরে ২০১২-১৩ মৌসুমে ঘরোয়া ট্রেবল জেতা শেখ রাসেল শিবিরে। মাঝমাঠ থেকে আক্রমণে ওঠা ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড এইলতন মাচাদো দে সৌজা রোজার থ্রু পাস ছুটে এসে স্লাইড করেও আটকাতে পারেননি গোলরক্ষক মোহাম্মদ নাঈম। নিখুঁত কোনাকুনি শটে ফাঁকা পোস্টে গোলটি করেন পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড ইসমায়েল রুতি তাবারেজ।
৪০তম মিনিটে রুতির দারুণ ক্রস আটকাতে আবারও পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন নাইম। এক টোকায় তার মাথার উপর দিয়ে বল বের করে নেওয়ার পর এইলতনের বাঁ পায়ের ভলি বাইরের জাল কাঁপায়।
দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলের খেলায় ছিল না প্রত্যাশিত গতি। গোলের জন্য মরিয়া ছিল না কেউই। ফলে স্কোরলাইনেও আসেনি পরিবর্তন।
দিনের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর সঙ্গে ১-১ ড্র করে উত্তর বারিধারা। এই ম্যাচের ফলে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের মুখোমুখি হওয়ার আগেই কোয়ার্টার-ফাইনাল নিশ্চিত হয়ে যায় শেখ জামালের।
তিন ম্যাচে ২ পয়েন্ট নিয়ে উত্তর বারিধারা তৃতীয় এবং ১ পয়েন্ট নিয়ে তলানিতে থেকে আসর শেষ বিমানবাহিনীর।