রবের্ত লেভানদোভস্কি, জর্জিনিয়ো, করিম বেনজেমাদের পেছনে ফেলে ২০২১ সালের ব্যালন ডি’অর জেতেন মেসি। প্যারিসে সোমবার রাতে এক জমকালো অনুষ্ঠানে ফরাসি সাময়িকী ‘ফ্রান্স ফুটবল’ –এর পুরস্কারটি ৩৪ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ডের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
বিশ্বজুড়ে সাংবাদিকদের ভোটে সাতবার ব্যালন ডি’অর জিতে নিজেকে যেন সবার ধরাছোঁয়ার বাইরে নিয়ে গেলেন মেসি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পাঁচবার পুরস্কারটি জিতেছেন সময়ের আরেক সেরা ফুটবলার ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো।
এমন অর্জনে খুবই গর্বিত অনুভব করছেন মেসি। ধন্যবাদ জানালেন সবাইকে।
“আবারও ফ্রান্স ফুটবলের ব্যালন ডি’অর জিতে আমি সত্যিই গর্বিত। সপ্তমবারের মতো এটি জিততে পারাটা অবিশ্বাস্য।”
“ধন্যবাদ জানাতে চাই আমার পরিবার, বন্ধুদের এবং যারা আমাকে অনুসরণ করে, সবসময় আমাকে সমর্থন করে। তাদেরকে ছাড়া আমি এটি অর্জন করতে পারতাম না।”
“রবের্ত, ব্যালন ডি’অর তোমার প্রাপ্য। গত বছর সবাই তোমার এই পুরস্কার জয়ের ব্যাপারে একমত ছিল।”
আগের ছয়বার মেসি এই পুরস্কার জিতেছেন-২০০৯, ২০১০, ২০১১, ২০১২, ২০১৫ ও ২০১৯ সালে। আগের প্রতিবারই এই স্বীকৃতি তিনি পেয়েছেন বার্সেলোনায় থাকাকালীন।
বার্সেলোনার সঙ্গে দীর্ঘ ২১ বছরের সম্পর্ক শেষে গত অগাস্টে পিএসজিতে যোগ দেন মেসি। কাতালান ক্লাবটিতে বিদায়ী মৌসুমটা তার খুব ভালো কাটেনি। তবে ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে তিনি বরাবরের মতোই ছিলেন উজ্জ্বল। লা লিগায় সর্বোচ্চ ৩০ গোল করে রেকর্ড অষ্টমবারের মতো জেতেন পিচিচি ট্রফি। আর কোপা দেল রের ফাইনালে আথলেতিক বিলবাওয়ের বিপক্ষে ৪-০ ব্যবধানে জয়ে জোড়া গোল করেন তিনি।
এরপর গত জুলাইয়ে ব্রাজিলকে তাদের মাঠেই হারিয়ে আর্জেন্টিনার কোপা আমেরিকা জয়ে নেতৃত্ব দেন মেসি। আন্তর্জাতিক ফুটবলে দেশের ২৮ বছরের শিরোপা খরা কাটানোর মিশনে চার গোল করে ও পাঁচটি করিয়ে সামনে থেকে পথ দেখান তিনি। আসরে ব্রাজিলের নেইমারের সঙ্গে যৌথভাবে সেরা খেলোয়াড়ও নির্বাচিত হন আর্জেন্টিনা অধিনায়ক।