ইতিহাদ স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বে ফিরতি লেগের ম্যাচে ২-১ গোলে জিতেছে ইংলিশ চ্যাম্পিয়নরা। এতে তাদের গ্রুপ সেরা হয়ে শেষ ষোলোয় খেলাও নিশ্চিত হয়ে গেছে।
ইউরোপ সেরা প্রতিযোগিতাটির গত আসরে সেমি-ফাইনালে এই সিটির বিপক্ষে দুই লেগেই হেরেছিল পিএসজি। এবার গ্রুপ পর্বে প্রথম দেখায় জিতে সেই কষ্টে কিছুটা প্রলেপ দেয় তারা। এবার দলটির মাঠে এসে আবারও হেরে বসল নেইমার-এমবাপেরা।
অবশ্য এখানে হারলেও অন্য ম্যাচের ফল পক্ষে আসায় নকআউট পর্বে উঠে গেছে পিএসজি। একই সময়ে শুরু হওয়া আরেক ম্যাচে ক্লাব ব্রুজকে ৫-০ গোলে হারিয়ে দিয়েছে লাইপজিগ।
ক্লাব ব্রুজের সমান ৪ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে উঠেছে লাইপজিগ।
হাইভোল্টেজ লড়াইয়ে পঞ্চম মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারতো সিটি। রদ্রির হেডে বল গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে জালে জড়াতে যাচ্ছিল, গোললাইন থেকে ফেরান ডিফেন্ডার প্রেসনেল কিম্পেম্বে। ওই আক্রমণেই মুহূর্তের ব্যবধানে আরও দুবার চেষ্টা চালায় স্বাগতিকরা; গোলরক্ষক নাভাস কোনোমতে প্রথমবার ফেরানোর পর রিয়াদ মাহরেজের শট পাশের জাল কাঁপায়।
চার মিনিট পর ছয় গজ বক্সের বাঁ দিকে ফাঁকায় বল পেয়েও নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেননি রাহিম স্টার্লিং। ১৮তম মিনিটে পেনাল্টি স্পটের কাছ থেকে মাহরেজের আরেকটি শট হেডে ঠেকান ডিফেন্ডার আশরাফ হাকিমি।
প্রথমার্ধে সিটির একচেটিয়া আক্রমণে ঘর সামলাতে ব্যস্ত সময় কাটে পিএসজির। ৩৩তম মিনিটে গিনদোয়ানের বুলেট গতির শট পোস্টে বাধা পায়। মুহুর্ত পরই মাহরেজের আরেক শট ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে জাল অক্ষত রাখেন নাভাস।
প্রথম ভাগে পিএসজির বিবর্ণ আক্রমণভাগ দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই জ্বলে উঠল। ৫০তম মিনিটে দারুণ এক গোছালো আক্রমণে দলকে এগিয়ে নিলেন এমবাপে। ডি-বক্সের বাইরে আন্দের এররেরার সঙ্গে ওয়ান-টু-ওয়ান খেলে ভিতরে ঢুকে ডান দিকে পাস দিলেন মেসি। প্রতিপক্ষের এক জনের পা ছুঁয়ে বল চলে গেল অরক্ষিত এমবাপের পায়ে। ঠাণ্ডা মাথায় সময় নিয়ে কাছের পোস্ট দিয়ে গোলটি করলেন ফরাসি ফরোয়ার্ড।
পাল্টা জবাব দিতে খুব বেশি সময় নেয়নি সিটি। ৬৩তম মিনিটে বাঁ থেকে সতীর্থের বাড়ানো ক্রসে বাইলাইনের কাছ থেকে লাফিয়ে নেওয়া ভলিতে গোলমুখে বল বাড়ান কাইল ওয়াকার। গাব্রিয়েল জেসুস পারেননি টোকা দিতে, তবে পেছনে দাঁড়ানো স্টার্লিং আলতো শটে খুঁজে নেন ঠিকানা।
এরপরই এগিয়ে যায় সিটি। ৭৬তম মিনিটে ডান দিক থেকে দূরের পোস্টে ক্রস বাড়ান মাহরেজ। বের্নার্দো সিলভা শট নিয়ে ছোট করে পাস বাড়ান জেসুসের পায়ে। ডান পায়ের শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার।
শেষ দিকে পিএসজি কিছুটা চাপ বাড়ানোর চেষ্টা করলেও উল্লেখযোগ্য তেমন কিছুই করতে পারেনি তারা। মেসি-নেইমার-এমবাপেয় গড়া সময়ের সেরা আক্রমণভাগ বিচ্ছিন্ন কিছু মুহূর্ত বাদে নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেনি মোটেও।
বড় দুই দলের লড়াইয়ে দেখার বিষয় ছিল আরেকটি; চোট কাটিয়ে দীর্ঘ ছয় মাসের বেশি সময় পর মাঠে নামেন কি-না সের্হিও রামোস। তবে বেঞ্চে থেকেই দলের হার দেখতে হয় তাকে।