আর্জেন্টিনার সান হুয়ানে বাংলাদেশ সময় বুধবার ভোরে শুরু হওয়া লাতিন আমেরিকার দুই পরাশক্তির মহারণ গোলশূন্য ড্র হয়।
৪২টি ফাউল হওয়া ম্যাচে রেফারি ছিলেন ভীষণ ব্যস্ত। বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্তের জন্য নেন ভিএআরের সাহায্য। প্রথমার্ধের শেষের দিকে আর্জেন্টিনার ডি-বক্সে ডিফেন্ডার নিকোলাস ওতামেন্দির হাতের আঘাতে রাফিনিয়ার মুখ দিয়ে রক্ত ঝরতে দেখা যায়। ব্রাজিলের পক্ষ থেকে পেনাল্টির জোরালো আবেদন উঠলেও ভিএআর সেটা নাকচ করে দেয়।
এমনিতে চুপচাপ স্বভাবের তিতে। রেফারি কিংবা ভিএআর নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে দেখা যায় না তাকে। কিন্তু আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ম্যাচ শেষে ওই ফাউলসহ ভিএআরের বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া জানান তিনি।
“(আন্দ্রেস) কুইয়া একজন অসাধারণ রেফারি। রেফারিংয়ের জন্য একটি দল প্রয়োজন, এবং যারা এদিন ভিএআরের দায়িত্বে ছিলেন, তাদের নিয়ে সেটা অসম্ভব। আমি আবারও বলছি, রাফিনিয়াকে মুখে ওতামেন্দির কনুই না দেখাটা অসম্ভব ছিল।”
“উঁচুমানের একজন ভিএআর কর্মকর্তা এভাবে কাজ করতে পারেন না। এটা অকল্পনীয়। অকল্পনীয় শব্দটি আমি ব্যবহার করতে চাইনি। তবে আমি এই শব্দটি ব্যবহার করছি, কারণ আমি ভদ্র।”
ভিএআরের সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষোভ জানালেও নিজ দলের খেলায় সন্তুষ্ট তিতে। ২০১৬ সালে দায়িত্ব নেওয়ার পর এই ম্যাচ তিনি নামিয়েছিলেন তার কোচিংয়ে সবচেয়ে কম বয়সী খেলোয়াড়দের দিয়ে সাজানো দল। চোটের কারণে ছিলেন না দলের সবচেয়ে বড় তারকা নেইমার। সব মিলিয়ে তিন পয়েন্ট না পেলেও তরুণ দলটির উজ্জীবিত পারফরম্যান্স থেকে ৬০ বছর বয়সী কোচ তাই খুঁজে পাচ্ছেন ইতিবাচক দিক।
“আমরা নেইমারের মত একজন অসাধারণ খেলোয়াড়কে হারাই এবং আমাদের দলকে নতুন করে সাজাতে হয়। তারা (লিওনেল) মেসির মানের খেলোয়াড়ের বিপক্ষে নিজেদেরকে ধরে রেখেছিল।"
লাতিন আমেরিকা থেকে কাতার বিশ্বকাপের নিশ্চিত করেছে এই দুই দল। ১৩ ম্যাচে ১১ জয় ও দুই ড্রয়ে ব্রাজিলের পয়েন্ট ৩৫। সমান ম্যাচে ২৯ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে আর্জেন্টিনা।