শেষে গোল হজমের কারণ খুঁজে পেয়েছেন লেমোস

কোচ বদল হলেও পরিণতি সেই একই। অস্কার ব্রুসনের হাত ধরে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে আশা জাগিয়ে ছিটকে পড়ার হতাশা হয়েছিল সঙ্গী। এবার মারিও লেমোসের কোচিংয়ে শ্রীলঙ্কার আমন্ত্রণমূলক টুর্নামেন্টেও একই দশা বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের। শেষ মুহূর্তে স্বপ্নভঙ্গের কারণ হিসেবে অন্তর্বর্তীকালীন এই কোচ আবারও মনোযোগের ঘাটতির কথাই বললেন।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Nov 2021, 08:51 PM
Updated : 16 Nov 2021, 08:51 PM

কলম্বোর রেসকোর্স মাঠে মঙ্গলবার ১০ জনের শ্রীলঙ্কার কাছে ২-১ গোলে হেরে প্রাইম মিনিস্টার মহিন্দা রাজাপাকসে ট্রফি থেকে ছিটকে যায় বাংলাদেশ। সমতায় ম্যাচ শেষ করতে পারলেই ফাইনালে উঠত দল। কিন্তু ৯০তম মিনিটের পেনাল্টি গোলে ভাঙে স্বপ্ন।

এই প্রতিযোগিতায় প্রথম ম্যাচে সিশেলসের বিপক্ষে শুরুর দিকে এগিয়ে যাওয়ার পর শেষ দিকে গোল হজম করে ড্র করে বাংলাদেশ। ওই ম্যচের পরও মনোযোগ হারানো আর সুযোগ নষ্ট করাকে কারন হিসেবে দেখান লেমোস। এবারও তাই বললেন।

গত অক্টেবরে সাফের ফাইনাল খেলতে নেপালের বিপক্ষে জয় দরকার ছিল বাংলাদেশের। এগিয়েও গিয়েছিল দল। কিন্তু ৮৮তম মিনিটের পেনাল্টি গোলে ড্র করে ছিটকে যাওয়ার বিষাদ হয়েছিল সঙ্গী।

শ্রীলঙ্কার কাছে হারের পর শেষ দিকে ভেঙে পড়া নিয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হলেন লেমোস। ৩৫ বছর বয়সী এই পর্তুগিজ কোচ বললেন, মনোযোগ হারানোর কারণেই এই বিপত্তি।

“এটা মনোযোগের কমতি। সত্যি বলতে শেষ মুহূর্তে আমার মনে হচ্ছিল কিছু একটা হতে যাচ্ছে। আমরা স্রেফ থেমে গিয়েছিলাম, ভেবেছিলাম আমরা জিততে যাচ্ছি। সেই মুহূর্তে ওটা হলো। শ্রীলঙ্কা গোলের জন্য মরিয়া ছিল এবং ওই সময় আমাদের অ্যাটিটিউড যেমন হওয়ার কথা ছিল, তেমন ছিল না। আমরা স্রেফ দেখছিলাম এবং ম্যাচ শেষের অপেক্ষা করছিলাম। যখন আপনি শেষ মুহূর্তে এমন কিছু করবেন, তখন হারবেন।”

ওয়াসিম রাজিকের গোলে পিছিয়ে পড়ার পর সমতায় ফেরার সুযোগ প্রথমার্ধেই পেয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু তপু বর্মন পেনাল্টি মিস করেন। শেষের প্রায় এক ঘণ্টা শ্রীলঙ্কা খেলেছে ১০ জন নিয়ে। কিন্তু পরে সমতায় ফিরলেও শেষ দিকে রাজিকের সফল স্পট কিক গড়ে দেয় ম্যাচের ভাগ্য।

শ্রীলঙ্কার এই প্রতিযোগিতায় সিশেলসের সঙ্গে ড্রয়ের পর মালদ্বীপকে হারায় বাংলাদেশ। কিন্তু ১৮ বছর পর দ্বীপ দেশটির বিপক্ষে জয়ের আত্মবিশ্বাস শ্রীলঙ্কা ম্যাচে টেনে নিতে পারল না জামাল-জিকোরা।

লেমোসের মনে হচ্ছে, তিন ম্যাচের মধ্যে স্বাগতিকদের বিপক্ষেই সবচেয়ে বাজে খেলেছে বাংলাদেশ। তার দল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত চাপের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেনি একটুও।

“শ্রীলঙ্কাকে ধন্যবাদ। তারা এই ম্যাচ জয়ের যোগ্য। তারা কঠোর পরিশ্রম করে খেলেছে। অনেকটা সময় ১০ জনের শ্রীলঙ্কা দলকে পেয়েছিলাম আমরা, কিন্তু আমি মনে করি আমরা চাপের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারিনি। তারা অনেক সুযোগ তৈরি করেছিল। অবশ্যই পেনাল্টি এবং লাল কার্ড ম্যাচ বদলে দিয়েছিল, আমরাও কিছু ভালো সুযোগ তৈরি করেছিলাম কিন্তু কাজে লাগাতে পারিনি।”

“তিন ম্যাচের মধ্যে আজকেই আমাদের পারফরম্যান্স ছিল সবচেয়ে বাজে। আজ আমাদের সবার এগিয়ে আসার প্রয়োজন ছিল, কিন্তু আমাদের মধ্যে ছিল জড়তা। একারণে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমরা চাপের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারিনি।”