সুইডেনকে পেছনে ফেলে বিশ্বকাপে স্পেন

নিজেদের সেরা ফর্মের ধারেকাছেও ছিল না স্পেন। তবে শেষ দিকে গিয়ে ঠিকই জ্বলে উঠল লুইস এনরিকের দল। দারুণ জয়ে সুইডেনকে পেছনে ফেলে উঠে গেল কাতার বিশ্বকাপের মূল পর্বে।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Nov 2021, 09:41 PM
Updated : 14 Nov 2021, 10:34 PM

সেভিয়ায় রোববার রাতে ৫২ হাজার দর্শকের সামনে বাছাইয়ের শেষ রাউন্ডে ১-০ গোলে জিতেছে স্পেন। শেষ দিকে ব্যবধান গড়ে দেন আলভারো মোরাতা।

‘বি’ গ্রুপের আট রাউন্ড শেষে ছয় জয় ও এক ড্রয়ে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে কাতারের টিকেট কাটল স্প্যানিশরা। আর ১৫ পয়েন্ট নিয়ে অপেক্ষায় রইল সুইডেন।

ইউরোপ অঞ্চলের বাছাইয়ে ১০ গ্রুপের শীর্ষ ১০ দল সরাসরি পাবে কাতার বিশ্বকাপের টিকেট। ১০ গ্রুপের রানার্সআপ ও নেশন্স লিগের সেরা দুই গ্রুপ জয়ী মিলে ১২ দলের প্লে-অফে ইউরোপ থেকে আরও তিনটি দল সুযোগ পাবে বিশ্বকাপে খেলার।
ম্যাচ শুরুর আগে স্পেনের জন্য হিসাবটা ছিল বেশ সহজ, হার এড়ালেই চলবে। কিন্তু সরাসরি বিশ্বকাপে জায়গা পেতে সুইডেনের জিততেই হতো। তাই ছোট্ট ভুলেই হতে পারে বিপদ, সেই ভাবনা থেকেই কি-না তেড়েফুঁড়ে আক্রমণে ওঠার তাড়না দেখা গেল না কারো মাঝে।
মাঠের ফুটবলও তাই এগোল ধীর গতিতে। প্রথম ৬০ মিনিটে উল্লেখযোগ্য সুযোগ তুলনামূলক বেশিই পায় সুইডেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছু করতে পারেনি তারা। পুরো ম্যাচেই লক্ষ্যে কোনো শট রাখতে পারেনি দলটি।
বল দখলে প্রথম থেকে এগিয়ে থাকা স্পেন নবম মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার বেশ কাছে যায়। কিন্তু ডান দিক দিয়ে আক্রমণে ওঠা পাবলো সারাবিয়ার শট দূরের পোস্টের একটু দূর দিয়ে চলে যায়। ষোড়শ মিনিটে পাল্টা আক্রমণে এমিল ফর্সবার্গের বাঁকানো শটও অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
গত ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে দলকে শেষ ষোলোর তোলার পথে চার গোল করা ফর্সবার্গ ৩৯তম মিনিটে আরেকটি দারুণ সুযোগ পান। তবে বাঁ থেকে সতীর্থের বাড়ানো ক্রসে লাইপজিগ মিডফিল্ডারের ভলি দূরের পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধের তৃতীয় মিনিটে স্পেনের ডিফেন্ডার সেসার আসপিলিকুয়েতার ভুলে সতীর্থের পা ঘুরে ডি-বক্সে বল পেয়ে উড়িয়ে মারেন আলেক্সান্দার ইসাক। ৬২তম মিনিটে গোল করার মতো পজিশনে থেকেও কোনাকুনি শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি আলভারো মোরাতা।
৮২তম মিনিটে মোরাতা আরেকটি দারুণ সুযোগ নষ্ট করেন। মাঝমাঠ থেকে সতীর্থের বাড়ানো বল ধরে কোনাকুনি এগিয়ে ডি-বক্সের মুখ থেকে গোলরক্ষক বরাবর শট নেন ইউভেন্তুসের এই স্ট্রাইকার। এর তিন মিনিট পরই জয়সূচক গোল পেয়ে যায় তারা।
গোলদাতা মোরাতা হলেও এতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন দানি ওলমো। ২০ গজ দূর থেকে তার বুলেট গতির শট ক্রসবারে লেগে ফেরার পর গোলমুখে ফাঁকায় বল পেয়ে জালে পাঠান ২৯ বছর বয়সী স্ট্রাইকার মোরাতা।
চোটের আঘাতে গুরুত্বপূর্ণ ও নিয়মিত কয়েকজন খেলোয়াড়কে হারালেও আত্মবিশ্বাসী ছিলেন কোচ এনরিকে। কষ্টে হলেও চাপের মুহূর্তে কোচের আস্থার প্রতিদান দিয়ে টানা দুই জয় তুলে নিল দলটি।
গ্রুপের পয়েন্ট টেবিলের পরের তিন দল গ্রিস, জর্জিয়া ও কসোভোর সব সম্ভাবনা আগেই শেষ হয়ে গিয়েছিল।