প্যারিসে শনিবার রাতে ইউরোপ অঞ্চলের বাছাইয়ে ‘ডি’ গ্রুপের ম্যাচটি ৮-০ গোলে জিতেছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। একটি করে গোল করেন অঁতোয়ান গ্রিজমান ও আদ্রিওঁ রাবিও।
পুরো ম্যাচে ৬৬ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে গোলের জন্য মোট ২০টি শট নেয় ফ্রান্স, যার ১৪টি ছিল লক্ষ্যে। আর কাজাখস্তানের পাঁচ শটের তিনটি ছিল লক্ষ্যে।
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের ১২৫তম দলটিকে শুরু থেকে চেপে ধরে তিন নম্বরে থাকা ফ্রান্স। সাফল্যও মেলে দ্রুত। ছয় মিনিটের মধ্যে দুই গোল করে দলকে এগিয়ে নেন এমবাপে।
দ্বাদশ মিনিটে গোলরক্ষকের ভুলে গোল হজম করে সফরকারীরা। উগো লরিসের থেকে বল পেয়ে জুল কুন্দে দ্রুত নিজেদের অর্ধ থেকে লম্বা করে বাড়ান। ক্লিয়ার করতে বক্সের বাইরে বেরিয়ে আসেন স্তাস পোকাতিলভ, কিন্তু বলের নাগাল পাননি। তাকে পরাস্ত করে ডি-বক্সে বল বাড়ান কিংসলে কোমান। ফাঁকা জালে বল পাঠাতে ভুল করেননি এমবাপে।
৩২তম মিনিটে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন ২২ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড। ডান দিক থেকে কোমানের ক্রসে ডি-বক্সে প্রতিপক্ষের দুই ডিফেন্ডারের মাঝে লাফিয়ে হেডে গোলটি করেন এমবাপে।
জাতীয় দলের হয়ে এটাই তার প্রথম হ্যাটট্রিক। ১৯৮৫ সালে দমিনিক অগস্তুর পর ফ্রান্সের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে হ্যাটট্রিক করলেন তিনি।
পরের গোলে অবদান রাখেন এমবাপে। গোলরক্ষক জায়গা ছেড়ে কিছুটা সরে যান আগেই। এমবাপের পাস ডি-বক্সে পেয়ে ফাঁকা জালে বল পাঠান ক্লাবের হয়েও দারুণ ছন্দে থাকা বেনজেমা। এর একটু পর তাকে তুলে নেন কোচ।
৭৫তম মিনিটে জালের দেখা পান রাবিও। গিজমানের কর্নারে জোরালো হেডে গোলটি করেন ইউভেন্তুসের এই মিডফিল্ডার।
আর নির্ধারিত সময়ের তিন মিনিট বাকি থাকতে নিজের চতুর্থ গোলটি করেন এমবাপে। ডি-বক্সে মুসা দিয়াবির পাস থেকে গোলরক্ষককে ফাঁকি দেন তিনি। বড় জয়ের আনন্দে মাঠ ছাড়ে স্বাগতিকরা।
৬৩ বছর পর ফ্রান্সের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে এক ম্যাচে চার গোল করলেন এমবাপে। এর আগে ১৯৫৮ সালের জুনে তখনকার পশ্চিম জার্মানির বিপক্ষে জুস্ত ফঁতেইন করেছিলেন চার গোল।
কাজাখস্তানের বিপক্ষে এই নিয়ে দুই ম্যাচ খেলে দুটিই জিতল ফ্রান্স। প্রথম দেখায় গত মার্চে দলটির মাঠে ২-০ গোলে জিতেছিল ফরাসিরা।
৯ পয়েন্ট নিয়ে ইউক্রেন তিনে, ৭ পয়েন্ট নিয়ে বসনিয়া-হার্জেগোভিনা চারে আছে। আট ম্যাচে কাজাখস্তানের ৩ পয়েন্ট।
ইউরোপ অঞ্চলের বাছাইয়ে ১০ গ্রুপের শীর্ষ ১০ দল সরাসরি পাবে ২০২২ কাতার বিশ্বকাপের টিকেট। ১০ গ্রুপের রানার্সআপ ও নেশন্স লিগের সেরা দুই গ্রুপ জয়ী মিলে ১২ দলের প্লে-অফে ইউরোপ থেকে আরও তিনটি দল সুযোগ পাবে বিশ্বকাপে খেলার।