গত ৩০ অক্টোবর লা লিগায় আলাভেসের বিপক্ষে ১-১ ড্র ম্যাচে হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করায় মাঠ ছেড়ে যান আগুয়েরো। ডাক্তারি পরীক্ষায় আসে শঙ্কা জাগানিয়া খবর। ধরা পড়ে, হৃদযন্ত্রের স্পন্দন জটিলতা সংক্রান্ত অ্যারিথমিয়া রোগে ভুগছেন তিনি। স্পেনের মার্কা ও আর্জেন্টিনার টিওয়াইসি স্পোর্টসসহ কয়েকটি গণমাধ্যমের প্রতিবেদন মতে, এ কারণে আগেভাগে বুটজোড়া তুলে রাখতে হতে পারে তাকে।
ম্যানচেস্টার সিটির সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিন্ন করে গত গ্রীষ্মে বার্সেলোনায় যোগ দেন আগুয়েরো। পায়ের পেশির চোটে ক্লাবটির হয়ে শুরুর দিকে অনেক ম্যাচ খেলতে পারেননি তিনি। মাঠে ফিরে এ পর্যন্ত কাতালুনিয়ার দলটির হয়ে পাঁচ ম্যাচ খেলেছেন ৩৩ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড।
আলাভেসের বিপক্ষে ম্যাচের পর বার্সেলোনা জানিয়েছিল, আগুয়েরো তিন মাসের জন্য মাঠের বাইরে থাকবেন। জোসেপ ব্রুগাদার অধীনে তার চিকিৎসা ও থেরাপি চলছে বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়েছিল।
বার্সেলোনার হয়ে চলতি মৌসুমে এ পর্যন্ত লা লিগায় চারটি এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগে একটি ম্যাচ খেলেছেন আগুয়েরো। একমাত্র গোলটি তিনি ক্লাসিকোয় বদলি হিসেবে নেমে করেন।
চোট কাটিয়ে বেশ দ্রুতই বার্সেলোনার শুরুর একাদশে জায়গা করে নেন আগুয়েরো। আক্রমণভাগের দুই সতীর্থ মার্টিন ব্রাথওয়েট ও লুক ডি ইয়ং চোটে বাইরে থাকায় পথটা সহজ হয় আগুয়েরোর জন্য। অল্প সময়ে কোচের প্রথম পছন্দের স্ট্রাইকার অবশ্য হতে পারেননি তিনি।
পরের ম্যাচে আলাভেসের বিপক্ষে শুরুর একাদশে ছিলেন আগুয়েরো। কিন্তু প্রথমার্ধের শেষ দিকে ইশারা দিয়ে জানান, তিনি মাঠ ছাড়তে চান। বুকে হাত দিয়ে মাঠে কিছুক্ষণ শুয়ে থাকতে দেখা যায় তাকে। মেডিকেল স্টাফরা তখন ছুটে যান। এরপর আগুয়েরো নিজেই উঠে দাঁড়িয়ে আস্তে আস্তে মাঠ ছেড়ে যান।
কঠিন সময়ে পাশে থাকায় ও শুভকামনা জানানোয় সমর্থকদের ধন্যবাদ জানান আগুয়েরো। দ্রুত সুস্থ হয়ে মাঠে ফেরার আশাবাদও ব্যক্ত করেন টুইটারে। কিন্তু বাস্তবে অপ্রত্যাশিত শেষের শঙ্কা জেগে উঠেছে তার ক্যারিয়ারে।
অবসরের বিষয়ে গণমাধ্যমের এসব খবরকে যদিও গুজব বলে উড়িয়ে দিলেন আগুয়েরো। টুইটারে বললেন, তিনি ‘সবসময় ইতিবাচক’ আছেন।
“এসব গুজবের প্রেক্ষিতে তাদের বলছি, আমি ক্লাবের চিকিৎসকদের নির্দেশনা অনুসরণ করছি। পরীক্ষা করা হচ্ছে এবং সে অনুযায়ী চিকিৎসা নিচ্ছি।"