এথেন্সের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার রাতে বাছাইয়ের ম্যাচটি ১-০ গোলে জিতেছে স্পেন। প্রথমার্ধে একমাত্র গোলটি করেন পাবলো সারাবিয়া।
গ্রিকদের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ১-১ ড্র করেই বাছাইয়ের অভিযান শুরু হয়েছিল স্পেনের। দুই রাউন্ড পর সুইডেনের মাঠে হেরে বিশ্বকাপে সরাসরি ওঠার পথটা কঠিন করে তোলে তারা। কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে সবকিছু আবার পাল্টে গেল।
এ দিনের প্রথম ম্যাচে জর্জিয়ার মাঠে সুইডেন হেরে যাওয়ায় এবং এখানে স্পেন জেতায় বিশ্বকাপে ওঠার লড়াইয়ের ভাগ্য এখন স্পেনের হাতে। সুইডেনের বিপক্ষে শেষ রাউন্ডে হার এড়ালেই কাতারের টিকেট পাবে ২০১০ বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়নরা।
সাত ম্যাচে পাঁচ জয় ও এক ড্রয়ে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে ‘বি’ গ্রুপের শীর্ষে স্পেন। সমান ম্যাচে পাঁচ জয়ে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে সুইডেন।
চার মিনিট পর প্রতি-আক্রমণে উঠে জালে বল পাঠান গিওর্গোস। তবে বল ধরার সময় অফসাইডে ছিলেন তিনি। এর খানিক পর কাঙ্ক্ষিত গোল পেয়ে যায় সফরকারীরা।
প্রতিপক্ষের গোলমুখে বল দখলের মাঝে ইনিগো মার্তিনেস ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। স্পট কিকে দলকে এগিয়ে এগিয়ে নেন মিডফিল্ডার সারাবিয়া।
৩৬তম মিনিটে দারুণভাবে ডি-বক্সে ঢুকে গতিতে সঙ্গে লেগে থাকা প্রতিপক্ষকে এড়িয়ে দুরূহ কোণ থেকে গোলরক্ষক বরাবর শট মারেন আলভারো মোরাতা। প্রথমার্ধের বাকি সময়েও একইভাবে চাপ ধরে রাখে স্পেন। তবে ফিনিশিংয়ে দুর্বলতায় ব্যবধান বাড়াতে পারেনি তারা।
ম্যাচের ৭৫ মিনিটের পর গতিপথ পাল্টানোর চেষ্টা করে স্বাগতিকরা। অল্প সময়ে দুটি হাফ-চান্সও পায় তারা। কিন্তু উল্লেখযোগ্য কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি দলটি।
ঘরের মাঠে হতাশাজনক এই হারে কাতার বিশ্বকাপে খেলার সব সম্ভাবনাই শেষ হয়ে গেল গ্রিসের। সাত ম্যাচে দুই জয় ও তিন ড্রয়ে ৯ পয়েন্ট নিয়ে তিনে তারা।
আট ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে জর্জিয়া চার নম্বরে ও সাত ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে কসোভো আছে তলানিতে। এই দুই দলের সম্ভাবনা শেষ হয়ে গিয়েছিল আগেই।
আগামী রোববার সরাসরি বিশ্বকাপে খেলা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সুইডেনের বিপক্ষে ঘরের মাঠে খেলবে স্পেন।
ইউরোপ অঞ্চলের বাছাইয়ে ১০ গ্রুপের শীর্ষ ১০ দল সরাসরি পাবে কাতার বিশ্বকাপের টিকেট। ১০ গ্রুপের রানার্সআপ ও নেশন্স লিগের সেরা দুই গ্রুপ জয়ী মিলে ১২ দলের প্লে-অফে ইউরোপ থেকে আরও তিনটি দল সুযোগ পাবে বিশ্বকাপে খেলার।