পয়েন্ট হারানোর ‘ক্ষত’ নিয়ে মালদ্বীপ ম্যাচে চোখ বাংলাদেশের

‘যা গেছে, তা গেছে’-বললেন মোহাম্মদ ইব্রাহিম। কিন্তু জয়ের দারুণ সম্ভাবনা জাগিয়েও সিশেলসের বিপক্ষে ড্র করা ম্যাচটি ঘুরেফিরে ঠিকই আসছে আলোচনায়। তাতে হতাশা আরও বাড়ছে ম্যাচটিতে গোল করা ইব্রাহিমের। পয়েন্ট হারানোর কষ্ট নিয়েই জাতীয় দলের এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার জানালেন, অতীত নিয়ে পড়ে না থেকে মালদ্বীপের বিপক্ষে পরের ম্যাচ নিয়ে ভাবছেন তারা।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Nov 2021, 02:42 PM
Updated : 11 Nov 2021, 02:42 PM

শ্রীলঙ্কার প্রাইম মিনিস্টার মাহিন্দা রাজাপাকসে চার জাতি টুর্নামেন্টে বুধবার সিশেলসের বিপক্ষে সপ্তদশ মিনিটে দারুণ বাঁকানো শটে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেন ইব্রাহিম। তবে নির্ধারিত সময়ের তিন মিনিট বাকি থাকতে গোল হজম করে ১-১ ড্র করে তারা।

কলম্বোর রেসকোর্স স্টেডিয়ামে আগামী শনিবার বাংলাদেশ সময় বেলা সাড়ে ৪টায় মালদ্বীপের মুখোমুখি হবে দল। এ ম্যাচ সামনে রেখে বৃহস্পতিবার সুইমিং ও রিকভারি সেরেছে দল। অন্তর্বর্তীকালীন কোচ মারিও লেমোস জিমনেশিয়ামে কাজ করেছেন সিশেলস ম্যাচ না খেলা শিষ্যদের নিয়ে।

সিশেলস ম্যাচে জয় হাতছাড়া হওয়ায় অন্যদের চেয়ে ইব্রাহিমের হতাশা বেশিই। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) মাধ্যমে পাঠানো ভিডিও বার্তায় বসুন্ধরা কিংসের এই খেলোয়াড় আড়াল করেননি তা। হারের পেছনে কিছুটা দায় তিনি দিলেন অতিবৃষ্টির কারণে বারবার ম্যাচ পেছানোকেও।

“আসলে ম্যাচটা আমাদের জেতা উচিত ছিল। এখন ড্র হয়ে গেছে, পরের টার্গেট মালদ্বীপের বিপক্ষে ম্যাচ। ওটা কিভাবে জিততে পারি, সেই পরিকল্পনা করছি আমরা। এমন একটা ভালো গোল করে যদি জিততে না পারি, ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়, তাহলে তো অবশ্যই খারাপ লাগে। খারাপ লাগছে। এটা আমাদের জেতা উচিত ছিল। তিন পয়েন্ট পাওয়া উচিত ছিল। কিন্তু যেটা হয়নি, সেটা নিয়ে ভেবে লাভ নেই। যেটা গেছে…সেটা গেছে। সামনের দিকে তাকাতে হবে।”

“দুইবার ম্যাচ পেছানোর জন্য আমার মনে হয় এটা হয়েছে (খেলায় প্রভাব ফেলেছে)। দেখুন, আমরা একটা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলাম ৮ নভেম্বর ম্যাচটি খেলব। সেটাও হলো না। পরের দিনও হলো না। ১০ তারিখে হলো। এভাবে ম্যাচটা পেছানোয় খেলোয়াড়দের মধ্যে একটা ভাবনা এসে গিয়েছিল, শেষ পর্যন্ত টুর্নামেন্টটা বাতিল হয়ে যেতে পারে। হঠাৎ করে প্রস্তুতির আগে বলল আজ ম্যাচ খেলতে হবে…আমার মনে হয় এটার প্রভাব পড়েছে।”

প্রথমার্ধেই গোলের একাধিক সুযোগ নষ্ট করেন ইব্রাহিম, সুমন রেজারা। যার চড়া মাশুল দিতে হয় দলকে। কিংসে উইঙ্গার পজিশনে খেলা ইব্রাহিম সিশেলস ম্যাচে খেলেন অ্যাটাকিং মিডফিল্ডে। পজিশনের এই বদলের প্রভাব স্কোরিংয়ে পড়ে বলে মনে করেন তিনি।
“(স্কোরিং) নিয়ে উন্নতি করতে হবে, অনেক কাজ করতে হবে। আমরা ক্লাবে বিভিন্ন পজিশনে খেলে এসে জাতীয় দলে অন্য পজিশনে খেলি। ক্লাবে আমি খেলি উইংয়ে, এখানে এসে খেলতে হয় স্ট্রাইকিং পজিশনে, মাঝমাঠে। পজিশন বদলের কারণে স্কোরিংয়ে আমাদের মনোযোগটা কমে যায়।”