সাইফ স্পোর্টিংয়ের হাল ধরলেন আর্জেন্টাইন ক্রুসিয়ানি

আর্জেন্টাইন কোচ দিয়েগো আন্দ্রেস ক্রুসিয়ানি ফিরলেন বাংলাদেশের ফুটবলে। বাংলাদেশকে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে সবশেষ ফাইনালে তোলা এই কোচ অবশ্য জাতীয় দল নয়, এবার তিনি হাল ধরেছেন সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Nov 2021, 11:39 AM
Updated : 6 Nov 2021, 11:39 AM

৫৫ বছর বয়সী এই আর্জেন্টাইনের সঙ্গে শনিবার চুক্তির আনুষ্ঠানিকতা সেরেছে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব। আপাতত এক বছরের চুক্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ক্লাবটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাসির উদ্দিন চৌধুরি।

“আমাদের বেসিক টার্গেট ছিল বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের সাইকোলজি, বাংলাদেশের সাংস্কৃতি সম্পর্কে জানা আছে এমন কাউকে নেওয়া। এগুলো খতিয়ে দেখতে গিয়ে দেখলাম যে, দিয়েগো সেরাদের মধ্যে একজন, যিনি বাংলাদেশে কোচিং করিয়েছেন; তার সাফল্য মোটামুটি ভালো।”

“কোচের সঙ্গে চুক্তি আপাতত এক বছরের। আমাদের সঙ্গে যদি ভালো কিছু হয়, তাহলে নিশ্চিতভাবেই চুক্তির মেয়াদ বেড়ে যাবে। কেবল এক বছরের নয়, দুই-তিন বছরের বা দীর্ঘমেয়াদী চুক্তি হতে পারে।”

ঘরোয়া ফুটবলে এখনও প্রত্যাশিত সাফল্য পায়নি দলটি। ২০১৬ সালে প্রিমিয়ার লিগে রানার্সআপ হওয়া দলটি গত লিগে হয় চতুর্থ। ২০২০-২১ মৌসুমে পল পুটের হাত ধরে ফেডারেশন কাপের ফাইনালে উঠেছিল তারা, কিন্তু বসুন্ধরা কিংসের কাছে ১-০ গোলে হেরে শিরোপা আশা গুঁড়িয়ে যায় তাদের।

১৪ বছর পর বাংলাদেশে ফিরে রোমাঞ্চিত ক্রুসিয়ানি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন নতুন মিশনে সাফল্য পাওয়ার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করার।

“আমার পরিকল্পনা হচ্ছে…আমরা সাফল্য পেতে চাই। এটা অবশ্যই সহজ নয়, কিন্তু দারুণ চ্যালেঞ্জের। (সাফল্য পেতে) আমি প্রতিদিন কঠোর পরিশ্রম করব, সামর্থ্যের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে চেষ্টা করব লক্ষ্য পূরণে।”

২০০৫-০৬ পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতীয় দলের কোচ ছিলেন ক্রুসিয়ানি। এই আর্জেন্টাইনের হাত ধরেই সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে ২০০৫ সালে সবশেষ ফাইনালে খেলেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ২০০৬ সালে এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপে দল ব্যর্থ হওয়ায় বিদায় ঘণ্টা বেজে যায় তার।

পরে ২০০৭ সালে আবাহনী লিমিটেডের দায়িত্ব নেন ক্রুসিয়ানি। কিন্তু ঘরোয়া ফুটবলের ঐতিহ্যবাহী দলটির সঙ্গে তার সম্পর্ক ওই বছরই শেষ হয়ে যায়। এরপর ২০০৯ সালে মালদ্বীপ জাতীয় দলের দায়িত্ব নেন এই আর্জেন্টাইন। ২০১১ সাল পর্যন্ত মালদ্বীপ এবং দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলের সঙ্গেই ছিলেন তিনি।

সাইফ স্পোর্টিংয়ের কোচের চেয়ারটি অবশ্য বরাবরই অস্থিতিশীল। ২০১৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১০ জন কোচ বদল করেছে দলটি, কিন্তু কাঙ্ক্ষিত সাফল্য অধরাই রয়ে গেছে। গত বছর থেকে ক্রুসিয়ানির আগ পর্যন্ত মালদ্বীপের মোহামেদ নিজাম, ক্রোয়েশিয়ান দ্রাগো মামিচ, বেলিজয়ান পল পুট, ইংল্যান্ডের স্টুয়ার্ট হল এবং জুলফিকার মাহমুদ মিন্টু দলটির দায়িত্ব পালন করেছেন।