বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে নিজেদের পরবর্তী দুই ম্যাচের জন্য শুক্রবার ২৪ সদস্যের দল ঘোষণা করেছেন এনরিকে। গত মার্চের পর এই প্রথম তিনি দলে ডাকলেন রিয়ালের কোনো খেলোয়াড়কে।
রাইট-ব্যাক কারভাহাল একের পর এক চোটের কারণে গত মৌসুমে অধিকাংশ সময়ই ছিলেন মাঠের বাইরে; সব প্রতিযোগিতায় মিলিয়ে খেলতে পারেন কেবল ১৫টি ম্যাচ।
গত আট মাসে তিনটি ভিন্ন প্রতিযোগিতার জন্য স্কোয়াড ঘোষণা করেন এনরিকে; কিন্তু কোনোবারই ইউরোপের সফলতম দলটি থেকে কোনো খেলোয়াড়কে নেননি তিনি। এর শুরুটা হয়েছিল জুন-জুলাইয়ে হওয়া ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ দিয়ে যেখানে সেমি-ফাইনালে খেলে তার দল।
এ সময়ে অবশ্য ক্লাবটির অধিকাংশ স্প্যানিশ খেলোয়াড় চোটে ভুগেছেন কিংবা ছন্দে ফর্মে ছিলেন না।
বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ইউরোপিয়ান অঞ্চলের লড়াইয়ে খুব একটা ভালো অবস্থানে নেই স্পেন। 'বি' গ্রুপে ৬ ম্যাচে চার জয় ও এক ড্রয়ে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে ২০১০ সালের বিশ্বকাপ জয়ীরা। সমান ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে সুইডেন।
কাতার বিশ্বকাপে সরাসরি খেলতে হলে পরের দুই ম্যাচেই জিততে হবে এনরিকের দলকে। আগামী ১১ নভেম্বর গ্রিসের মুখোমুখি হবে স্পেন। এর তিন দিন পর তাদের প্রতিপক্ষ সুইডেন।
এই দুটি দলের বিপক্ষেই এবার পয়েন্ট হারিয়েছে এনরিকের শিষ্যরা। গ্রিসের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ১-১ ড্রয়ের পর চতুর্থ রাউন্ডে সুইডেনের মাঠে গিয়ে ২-১ গোলে হেরেছিল স্পেন।
স্পেন দল:
গোলরক্ষক: দাভিদ দে হেয়া (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড), উনাই সিমোন (আথলেতিক বিলবাও), রবের্ত সানচেস (ব্রাইটন অ্যান্ড হোভ অ্যালবিয়ন)
ডিফেন্ডার: দানি কারভাহাল (রিয়াল মাদ্রিদ), হোসে গায়া (ভালেন্সিয়া), জর্দি আলবা (বার্সেলোনা), পাও তরেস (ভিয়ারিয়াল), এমেরিক লাপোর্ত (ম্যানচেস্টার সিটি), এরিক গার্সিয়া (ম্যানচেস্টার সিটি), সেসার আসপিলিকুয়েতা (চেলসি), ইনিগো মার্তিনেজ (আথলেতিক বিলবাও)
মিডফিল্ডার: সের্হিও বুসকেতস (বার্সেলোনা), গাভি (বার্সেলোনা), রদ্রি (ম্যানচেস্টার সিটি), কোকে (আতলেতিকো মাদ্রিদ), মিকেল মেরিনো (রিয়াল সোসিয়েদাদ), কার্লোস সোলার (ভালেন্সিয়া)
ফরোয়ার্ড: আনসু ফাতি (বার্সেলোনা), পাবলো সারাবিয়া (স্পোর্তিং), ইয়েরেমি পিনো (ভিয়ারিয়াল), পাবলো ফোরনালস (ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেড), ব্রাহিম দিয়াস (এসি মিলান), দানি ওলমো (লাইপজিগ), আলভারো মোরাতা (ইউভেন্তুস), রদ্রিগো মোরেনো (লিডস ইউনাইটেড)