লাইপজিগের রেড বুল অ্যারেনায় বুধবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচটি ২-২ গোলে ড্র হয়েছে। পিএসজির গোল দুটি করেন মিডফিল্ডার জর্জিনিয়ো ভেইনালডাম।
জার্মান দলটির বিপক্ষে সপ্তাহ দুয়েক আগে নিজেদের মাঠে ৩-২ গোলে জিতেছিল পিএসজি।
মেসি না থাকলেও এই ম্যাচ দিয়ে ফেরেন কিলিয়ান এমবাপে। কিন্তু একাধিক সুযোগ হাতছাড়া করেন তিনি। নেইমার ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে।
বল দখল ও আক্রমণে এগিয়ে ছিল লাইপজিগ। গোলের উদ্দেশে তাদের ১৬ শটের পাঁচটি লক্ষ্যে ছিল। পিএসজির সাত শটের চারটি ছিল লক্ষ্যে।
অষ্টম মিনিটে আর পারেননি তিনি। সিলভার বাঁ দিক থেকে বাড়ানো ক্রসে কাছ থেকে ডাইভিং হেডে লাইপজিগকে উচ্ছ্বাসে ভাসান ফরাসি মিডফিল্ডার ক্রিস্টোফার এনকুকু।
দ্বাদশ মিনিটে স্কোরলাইন হতে পারত ২-০। পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন সিলভা। তার শট দারুণ দক্ষতায় ঠেকিয়ে দেন দোন্নারুম্মা। সিলভাকে পিএসজির দানিলো ডি-বক্সে ফেলে দিলে পেনাল্টিটি দিয়েছিলেন রেফারি।
সপ্তদশ মিনিটে আরেকটি সুযোগ পায় স্বাগতিকরা। কিন্তু উড়িয়ে মেরে হতাশ করেন এনকুকু। এর তিন মিনিট পরই দারুণ এক আক্রমণ থেকে সমতায় ফেরে পিএসজি।
নেইমারের থ্রু বল ডি-বক্সে পেয়ে যান এমবাপে। ফরাসি ফরোয়ার্ড বল বাড়ান ছয় গজ বক্সের মুখে। ছুটে গিয়ে জালে পাঠান ডাচ ডিফেন্ডার ভেইনালডাম।
শুরুতে অফসাইডের পতাকা তুলছিলেন লাইন্সম্যান। ভিএআরে পাল্টায় সিদ্ধান্ত।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে দারুণ একটি সুযোগ পান এমবাপে। ডান দিক দিয়ে এগিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে ফরাসি ফরোয়ার্ডের নেওয়া শটে বল এক হাতে ক্রসবারের ওপর দিয়ে পাঠান গোলরক্ষক।
দ্বিতীয়ার্ধের সপ্তম মিনিটে আরেকটি সুযোগ আসে এমবাপের সামনে। এবার বাইরে মারেন বিশ্বকাপ জয়ী তারকা। ৬৪তম মিনিটে তার আরেকটি প্রচেষ্টা ঠেকান গোলরক্ষক।
৭২তম মিনিটে সুযোগ নষ্ট হয় স্বাগতিকদের। এনকুকুর ক্রস ডি-বক্সে ফাঁকায় পেয়ে অবিশ্বাস্যভাবে বাইরে মারেন মিডফিল্ডার দমিনিক সোবোসলাই।
নির্ধারিত সময়ের এক মিনিট বাকি থাকতে এনকুকুকে পিএসজির ডিফেন্ডার প্রেসনেল কিম্পেম্বে ডি-বক্সে ফেলে দিলে ভিএআরের সাহায্যে পেনাল্টি দেন রেফারি। সফল স্পট কিকে আসরে লাইপজিগকে প্রথম পয়েন্ট এনে দেন সোবোসলাই।
একই সময়ে শুরু হওয়া গ্রুপের আরেক ম্যাচে নিজেদের মাঠে ক্লাব ব্রুজকে ৪-১ গোলে হারিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি।
তাদের হয়ে একটি করে গোল করেন ফিল ফোডেন, রিয়াদ মাহরেজ, রাহিম স্টার্লিং ও গাব্রিয়েল জেসুস। আর জন স্টোন্স করেন আত্মঘাতী গোল।
৪ ম্যাচে তিন জয়ে ৯ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষে উঠেছে পেপ গুয়ার্দিওলার দল। সমান ম্যাচে ২টি করে জয় ও ড্রয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে নেমে গেছে পিএসজি।
ক্লাব ব্রুজের ৪ ও লাইপজিগের ১ পয়েন্ট।