জামালদের কাছে শ্রীলঙ্কা যাওয়ার ‘ভিসা’ চাইলেন সালাউদ্দিন

শ্রীলঙ্কায় চার জাতি টুর্নামেন্ট সামনে রেখে চলা অনুশীলন দেখলেন কাজী সালাউদ্দিন। খেলোয়াড়দের সঙ্গেও সারলেন আলাপ। পরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি জানালেন আলাপের বিষয়। জামালদের বলেছেন, তারা যদি শিরোপা জয়ের প্রতিশ্রুতি দেয় তাহলেই কেবল শ্রীলঙ্কায় যাবেন তিনি।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Nov 2021, 01:53 PM
Updated : 3 Nov 2021, 01:53 PM

শ্রীলঙ্কার প্রাইম মিনিস্টার মাহিন্দা রাজাপাকসে ট্রফিতে আগামী ৮ নভেম্বর সিশেলসের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে যাত্রা শুরু করবে বাংলাদেশ। ১১ নভেম্বর মুখোমুখি হবে মালদ্বীপের। তিন দিন পর প্রতিপক্ষ স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা। এ উপলক্ষে বুধবার ফর্টিস একাডেমি মাঠে ষষ্ঠ দিনের অনুশীলন সেরেছে দল। জামাল-রাকিবদের উদ্বুদ্ধ করতে অনুশীলনে গিয়েছিলেন সালাউদ্দিন।

সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের আগেও খেলোয়াড়দের ‘অকল্পনীয় পুরস্কার’ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সালাউদ্দিন। কিন্তু দল সভাপতির প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি; সেই পুরস্কারও পায়নি। মালদ্বীপ থেকে খালি হাতে ফেরা সালাউদ্দিন এবারও শ্রীলঙ্কা যেতে চান, কিন্তু তার আগে শিরোপা নিশ্চয়তা চাইলেন দলের কাছে।

“আমি সিম্পল কথা বলেছি। সবার সামনে অধিনায়ককে ডেকে বলেছি, আমি কী শ্রীলঙ্কাতে যাবো নাকি যাবো না? তোমাদের পারমিশন লাগবে। ওরা বলেছে আপনাকে চ্যাম্পিয়নশিপ দেব। আমি তখন বলেছি চ্যাম্পিয়নশিপ দিলে আমি ফাইনালে যাব। না দিলে আমাকে ভিসা দিও না (হাসি)।”

গত মাসে মালদ্বীপের হওয়া সাফে আলাদাভাবে নজর কেড়েছেন রাকিব হোসেন। কিন্তু নেপালের বিপক্ষে বাঁচা-মরার লড়াইয়ে এই মিডফিল্ডারের একটি ব্যাক পাস হয়েছিল সর্বনাশের কারণ। রাকিবের সঙ্গে ওই ব্যাক পাস নিয়েও কথা হয়েছে বলে জানালেন সালাউদ্দিন।

“রাকিবকে বলেছি..মালদ্বীপের প্রতিযোগিতায় তুমি সেরা খেলোয়াড়। কিন্তু ব্যাক পাসটা কীভাবে করলে। এটার তো উত্তর নেই। ওই ব্যাক পাসটাই আমার দলের সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।”

বাফুফে সভাপতির সঙ্গে কথা বলতে পেরে আত্মবিশ্বাস বেড়েছে রাকিবেরও। সাফের ব্যর্থতা ভুলে শ্রীলঙ্কায় ভালো করতে এখন আরও বেশি অনুপ্রাণিত ২২ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার।

“সভাপতি বলেছেন, আমার খেলা তার ভালো লেগেছে। আরও বলেছেন, কিছু ভুল-ত্রুটি ছিল ওগুলো শুধরাতে পারলে তুমি আরও ভালো করবে; তোমার গতি অনেক, ভেতরে ঢুকতে পার, কিন্তু ফিনিশিংটা ভালো হচ্ছে না। তুমি তিনটা ম্যাচে যথেষ্ট ভালো খেলেছ, কিন্তু ওই দিন কি করলে। প্রতিদিন খেলা দেখবে, তাহলে উন্নতি হবে।”

“তার সঙ্গে ওয়ান টু ওয়ান কথা বলে খুব ভালো লেগেছে। ভুল হবেই কিন্তু ভুলগুলো শুধরে নিয়ে খেলতে পারলে টিমের জন্য ভালো হবে। সভাপতি কথা বলায় আমার আত্মবিশ্বাসও আরও বাড়ছে। মনে হচ্ছে, আরও ভালো কিছু করতে হবে। গতবারের (সাফের) চেয়ে ভালো কিছু করার প্রত্যাশা এবার।”