কুমানকে সরিয়েও ভাগ্য ফিরল না বার্সার

সাদামাটা প্রথমার্ধের পর গোল উপহার দিলেন মেমফিস ডিপাই। তবে ব্যবধানটা ধরে রাখতে পারল না বার্সেলোনার দুর্বল রক্ষণ। ঘরের মাঠে আরেকটি হতাশার দিন কাটল কাতালান ক্লাবটির।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Oct 2021, 08:59 PM
Updated : 30 Oct 2021, 10:00 PM

বার্সেলোনাকে আরও একবার ভোগালেন লুইস রিয়োহা। আলাভেসের বিপক্ষে অনেক চেষ্টায় এগিয়ে গিয়েও স্প্যানিশ এই ফরোয়ার্ডের গোলে পয়েন্ট হারাল দলটি। কাম্প নউয়ে শনিবার রাতে লা লিগার ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়েছে।

গত আসরে আলাভেসের মাঠে রিয়োহার গোলেই পিছিয়ে পড়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে তা শোধ করে হার এড়িয়েছিল বার্সেলোনা।

এবারের দেখায় প্রায় ৮০ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে গোলের উদ্দেশ্যে ১৬ শট নিয়ে পাঁচটি লক্ষ্যে রাখতে পারে তারা। সেখানে আলাভেস নিতে পারে কেবল তিন শট, যার দুটি লক্ষ্যে।

লা লিগায় আগের দুই ম্যাচে পরাজয়, তার একটি আবার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে। সবশেষ চার ম্যাচের হিসাব করলে হারের সংখ্যা তিনটি। পয়েন্ট টেবিলে অবস্থান ক্রমেই নিচের দিকে। দলের টানা ব্যর্থতার দায় মাথায় নিয়ে চাকরি হারিয়েছেন রোনাল্ড কুমান।

গত বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তীকালীন কোচের দায়িত্ব পাওয়া সের্হি বারজুয়ানের স্পর্শে দুদিনেই পাল্টে যাবে দল, এমনটা আশা করা ঠিক নয়। তা হয়ওনি।

বার্সেলোনা প্রথম মিনিট থেকে পজেশনে ভালো অবস্থায় থাকলেও আক্রমণে বেশি কিছু করতে পারছিল না। ১৮তম মিনিটে গিয়ে মেলে প্রথম কোনো সুযোগ, যদিও তা কাজে লাগাতে পারেননি এরিক গার্সিয়া। এই স্প্যানিশ ডিফেন্ডারের হেড ঝাঁপিয়ে ঠেকান গোলরক্ষক।

বিরতির একটু আগে ভালো একটি সুযোগ তৈরি করেন মেমফিস। তার জোরালো শটে বল শেষ মুহূর্তে বাঁক খেয়ে জালে ঢুকতে পারত, বলের দিকে দৃষ্টি রেখে ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক।

দ্বিতীয়ার্ধের চতুর্থ মিনিটে আর ব্যর্থ হননি মেমফিস। জর্দি আলবার ছোট পাস ধরে দুই পা এগিয়ে ডি-বক্সের বাইরে থেকে বুলেট গতির শটে ঠিকানা খুঁজে নেন ডাচ ফরোয়ার্ড।

তাদের এগিয়ে যাওয়ার আনন্দ অবশ্য তিন মিনিটও স্থায়ী হয়নি। বার্সেলোনার তিন জনের মধ্যে দিয়ে রিয়োহা বল পায়ে এগিয়ে হোসেলুকে পাস দিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন। বল ধরেই ব্যাকহিলে ফেরত পাঠান হোসেলু। এরপর বল ধরে গোলরক্ষক মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগেনকে কাটিয়ে কোনাকুনি শটে গোলটি করেন রিয়োহা।

বার্সেলোনার বিপক্ষে তার পরিসংখ্যান আরও উজ্জ্বল হলো। লা লিগায় এ পর্যন্ত ৭৪ ম্যাচ খেলে তিনি গোল করেছেন কেবল পাঁচটি। এর তিনটিই বার্সেলোনার বিপক্ষে! গত মৌসুমে দুবারের দেখায় গোল করার পর এবারও পেলেন জালের দেখা।

খানিক পর তিন মিনিটের ব্যবধানে আরও দুটি সুযোগ পান মেমফিস। ৫৮তম মিনিটে তার প্রচেষ্টা পোস্টে বাধা পাওয়ার পর ওয়ান-অন-ওয়ানে গোলরক্ষক বরাবর শট নিয়ে হতাশ করেন তিনি।

বার্সেলোনার চোট পাওয়া খেলোয়াড়দের তালিকাটা বেশ লম্বা। সেটা হয়তো আরেকটু লম্বা হলো। বিরতির আগে অস্বস্তি নিয়ে মাঠ ছাড়েন কদিন আগেই চোট কাটিয়ে ফেরা সের্হিও আগুয়েরো। ৬৮তম মিনিটে খুঁড়িয়ে মাঠ ছাড়েন জেরার্দ পিকে।

বাকি সময়েও বল দখলে রেখে চেষ্টা করে যায় বার্সেলোনা, তবে নিশ্চিত কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি তারা। আগুয়েরোর বদলি নামা ফিলিপে কৌতিনিয়োকে উদ্দেশ্য করে শেষ দিকে দুয়ো দেন দর্শকরা। লিভারপুল খেকে ২০১৮ সালে কাম্প নউয়ে আসার পর থেকে কখনোই প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি এই ব্রাজিলিয়ান।

১১ ম্যাচে চারটি করে জয় ও ড্রয়ে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে নবম স্থানে আছে বার্সেলোনা।

দিনের প্রথম ম্যাচে এলচের মাঠে ২-১ গোলে জয়ী রিয়াল মাদ্রিদ ২৪ পয়েন্ট নিয়ে আছে শীর্ষে। পরের দুটি স্থানে থাকা সেভিয়া ও রিয়াল সোসিয়েদাদের পয়েন্টও সমান ২৪।