প্রতিপক্ষের মাঠে শনিবার স্থানীয় সময় দুপুরে শুরু হওয়া ম্যাচটি ২-১ গোলে জিতেছে কার্লো আনচেলত্তির দল।
গত মৌসুমে দলটির মাঠে শুরুতে এগিয়ে গিয়েও দ্বিতীয়ার্ধে গোল খেয়ে পয়েন্ট হারিয়েছিল রিয়াল। এবারও শেষ দিকে একটি গোল শোধ করে নাটকীয়তার আভাস দেয় এলচে; তবে এবার আর ভুল করেনি প্রতিযোগিতার সফলতম দলটি।
আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণের জমজমাট লড়াইয়ে প্রায় ৫৫ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে গোলের উদ্দেশ্যে ১৭টি শট নেয় রিয়াল, যার পাঁচটি ছিল লক্ষ্যে। আর এলচের ১৩ শটের চারটি ছিল লক্ষ্যে।
গত সেপ্টেম্বরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে শেরিফ তিরাসপুলের বিপক্ষে সেই হারের ম্যাচে পায়ে একটু আঘাত পেয়েছিলেন করিম বেনজেমা। কিন্তু ব্যস্ত সূচিতে তাকে বিশ্রাম দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছিলেন না কোচ। এবার সুযোগ বুঝে তাকে পুরোপুরি সেরে ওঠার জন্য দলের বাইরে রাখলেন আনচেলত্তি।
সেই সঙ্গে ওসাসুনা ম্যাচের দলে আরও চারটি পরিবর্তন এনে খেলতে নামে রিয়াল। বেনজেমার জায়গায় মৌসুমে প্রথমবারের মতো শুরুর সুযোগ পান স্ট্রাইকার মারিয়ানো। কয়েকটি সুযোগ হাতছাড়া করলেও সতীর্থের গোলে অবদান রেখে আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন তিনি।
এর মাঝে ষোড়শ মিনিটে চোট আঘাত হানে রিয়াল শিবিরে। প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডার পেদ্রো বিগাসের সঙ্গে বল দখলের লড়াইয়ে পায়ে চোট মাঠ ছাড়েন রদ্রিগো। বদলি নামেন মার্কো আসেনসিও।
দুই মিনিট পরই এগিয়ে যায় বেশ খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে চলা রিয়াল। মারিয়ানোর দারুণ ফ্লিকে বল পেয়ে প্রথম ছোঁয়ায় নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বাঁ পায়ের কোনাকুনি শটে গোলটি করেন ছন্দে থাকা ভিনিসিউস।
২৬তম মিনিটে দারুণ একটি গোল পেতে পারতেন মারিয়ানো। চোট কাটিয়ে ফেরা লুকা মদ্রিচের উঁচু করে বাড়ানো বল ধরে সঙ্গে লেগে থাকা প্রতিপক্ষকে ফাঁকি দিয়ে পায়ের দারুণ কারিকুরিতে গোলরক্ষককেও কাটান স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড। কিন্তু শেষে গিয়ে দুরূহ কোণ থেকে শট লক্ষে রাখতে পারেননি তিনি।
পাঁচ মিনিট পর স্বাগতিকদের সমতায় ফেরার ভালো একটি সুযোগ নষ্ট হয়। সতীর্থের ক্রসে লুকাস পেরেসের ওভারহেড কিক অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে বেঁচে যায় রিয়াল।
প্রতিপক্ষে এক জন কম থাকার সুযোগ কাজে লাগিয়ে ১০ মিনিট পরই ব্যবধান দ্বিগুণ করে রিয়াল। মদ্রিচের দারুণ রক্ষণচেরা পাস ধরার মাঝে ডি-বক্সে ঢুকে সঙ্গে লেগে থাকা ডিফেন্ডারকে গতিতে পেছনে ফেলে দুরূহ কোণ থেকে গোলটি করেন ভিনিসিউস।
নভেম্বরের আন্তর্জাতিক সূচিতে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দুটি ম্যাচের জন্য শুক্রবার ভিনিসিউসকে বাইরে রেখে দল ঘোষণা করেন ব্রাজিল কোচ তিতে। পরদিনই মাঠে নেমে নজরকাড়া পারফরম্যান্স করলেন তরুণ এই ফরোয়ার্ড।
৮৬তম মিনিটে নিজেদের ভুলে গোল খেয়ে বসে রিয়াল। নিজেদের সীমানায় বল ক্লিয়ার করতে লক্ষ্যহীন শট নেন কাসেমিরো। বল এলচের বেনেদেত্তোর মাথায় লেগে চলে যায় ডি-বক্সে। দ্রুত বল ধরে নিচু শটে লক্ষ্যভেদ করেন পেরে মিয়া। এমন গোল খেয়ে বেশ ক্ষিপ্ত দেখা যায় গোলরক্ষক কোর্তোয়াকে। এমন হাস্যকর ভুলের খেসারত অবশ্য দিতে হয়নি তাদের।
১১ ম্যাচে সাত জয় ও তিন ড্রযে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ফিরল রিয়াল মাদ্রিদ। সমান পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে নেমে গেছে রিয়াল সোসিয়েদাদ।