বাংলাদেশের ফুটবলে ‘নবাব’ হওয়ার স্বপ্ন নবাবের

প্রথমবারের মতো জাতীয় দলের হয়ে অনুশীলন করে দারুণ রোমাঞ্চিত ওবায়দুর রহমান নবাব। লাল-সবুজের জার্সিতে আসন্ন শ্রীলঙ্কার প্রতিযোগিতায় অভিষেক হবে কিনা, তা নিয়ে এখনই ভাবছেন না কাতার প্রবাসী এই উইঙ্গার। প্রথম অনুশীলনের ভালোলাগা নিয়ে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে প্রতিশ্রুতি দিলেন, সুযোগ পেলে সেরাটা নিংড়ে দেওয়ার। বাংলাদেশের ফুটবলে ‘সবার সেরা’ হওয়ারও!

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Oct 2021, 12:18 PM
Updated : 28 Oct 2021, 12:27 PM

শ্রীলঙ্কার প্রাইম মিনিস্টার মাহিন্দা রাজাপাকসে ট্রফিতে আগামী নভেম্বরে খেলবে বাংলাদেশ। আগামী ৮ নভেম্বর সিশেলসের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে টুর্নামেন্টে যাত্রা শুরু করবে দল। ১১ নভেম্বর মুখোমুখি হবে মালদ্বীপের। তিন দিন পর প্রতিপক্ষ স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা। প্রতিযোগিতাটি সামনে রেখে বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অন্তর্বর্তীকালীন কোচ মারিও লেমোসের সঙ্গে প্রথম অনুশীলন করেছে দল।

বসুন্ধরা কিংসের হয়ে গত মৌসুমে দুটি লিগ ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন নবাব। এরপর চোটের কারণে ছিলেন দলের বাইরে। সুস্থ হয়ে ফিরে ২২ বছর বয়সী এই উইঙ্গার ডাক পেয়েছেন লেমোসের দলে। জাতীয় দলের হয়ে প্রথম অনুশীলন করে শিহরিত তিনি। স্বপ্ন দেখছেন লাল-সবুজের জার্সিতে অভিষেকের।

“ক্যাম্পে থাকতে পেরে আমি খুশি। গত মৌসুমে চোটের কারণে খুব বেশি ম্যাচ টাইম পাইনি। তাই আশা করিনি ডাক পাব, কিন্তু কোচ আমার উপর আস্থা রেখেছেন। ডেকেছেন। এই বন্ধের মধ্যে ফিটনেস ধরে রেখেছিলাম। ট্রেনিং করেছি। প্রথম দিন দলের সঙ্গে অনুশীলন করাটা উপভোগ করেছি।”

“সত্যি বলতে, (সেরা একাদশে জায়গা পাওয়া) এটা পুরোপুরি কোচের সিদ্ধান্ত। কোচ যদি মনে করে সেরা একাদশে জায়গা পাওয়ার জন্য আমি যথেষ্ট ফিট এবং দলে বাড়তি কিছু যোগ করতে পারি, তাহলে…এটা আসলে আমার বলার কথা নয়, আমি যথেষ্ট ফিট কিনা খেলার জন্য। জাতীয় দলের হয়ে খেলতে পারা সম্মানের এবং আমি এজন্যই বাংলাদেশে এসেছি। এখানে অনেকে যেহেতু আমার পরিচিত, সব মিলিয়ে আমি সবকিছু নিয়ে খুশি।”

গত মৌসুমে চোটে পড়ার পর কিংস কোচ অস্কার ব্রুসন কোনো চাপ দেননি। সুযোগ দিয়েছিলেন পুরোপুরি সেরে ওঠার। এক ফাঁকে কিংস কোচের প্রতি কৃতজ্ঞতাও জানালেন নবাব।

শ্রীলঙ্কা সফরকে সামনে রেখে প্রথম দিনের অনুশীলনে বাংলাদেশ দল। ছবি: ছবি: মোহাম্মদ জুবায়ের

“কোচ অস্কার সবার থেকে বেশি আমার পরিস্থিতিটা বুঝেছেন। তিনি আসলে আমাকে নিয়ে ঝুঁকি নিতে চাননি। যদি আবার চাপের ম্যাচ খেলতাম, তাহলে চোটে পড়ার সম্ভাবনা আরও বেশি থাকত। আমার ভালোর জন্যই তিনি আমাকে পর্যবেক্ষণে রেখেছিলেন এবং এ নিয়ে আমি খুশি।

এরই মধ্যে ডেনমার্ক প্রবাসী জামাল ভূইয়া, ফিনল্যান্ড প্রবাসী কাজী তারিক রায়হান জাতীয় দলে পাকা করে নিয়েছেন জায়গা। কাতার প্রবাসী নবাবও চ্যালেঞ্জ নিচ্ছেন জামাল-তারিকদের মতো আস্থা অর্জনের।

“আগেও বলেছি, চোটের কারণে গত মৌসুমে বেশি ম্যাচ খেলতে পারিনি। যতটুকু পেরেছি, চেষ্টা করেছি নিজের সেরাটা দেওয়ার জন্য। যদি (ক্যাম্পে ডাক পাওয়াতে) অতটুকুর প্রভাব থেকে থাকে…থাকতে পারে কিন্তু আমি জানি না। তবে সেরা একাদশে জায়গা পাওয়ার ব্যাপারে আমি আশাবাদী। আমি শুধু চেষ্টা করব, নিজের সেরাটা দেওয়ার, আমি আত্মবিশ্বাসী। ইনশাল্লাহ সুযোগ পাব।”

“আমার কাছে এ মুহূর্তে একটাই চ্যালেঞ্জ, ফিটনেস ধরে রাখা। সেটা যদি রাখতে পারি…আমি আসলেই সেরা একাদশে জায়গা করে নিতে পারার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী। আমি আমার সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব। আশা করি একদিন বাংলাদেশের ফুটবলের নবাব হতে পারব ইনশাল্লাহ।”