আমার অর্জন বাংলাদেশের জিমন্যাস্টদের অনুপ্রাণিত করবে: মার্গারিতা

বাংলাদেশে এসেছেন রিও দে জেনেইরো অলিম্পিকে জেতা সোনার পদক নিয়ে। মার্গারিতা মামুনের পদকটি নিয়ে জিমন্যাস্টদের উচ্ছ্বাস-উন্মাদনার কমতি ছিল না। বিষয়টি ছুঁয়ে গেছে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এই রাশিয়ান জিমন্যাস্টকে।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Oct 2021, 03:21 PM
Updated : 27 Oct 2021, 03:21 PM

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ জিমন্যাস্টিক ফেডারেশন আয়োজন করছে ‘বঙ্গবন্ধু ৫ম সেন্ট্রাল সাউথ এশিয়ান আর্টিস্টিক জিমন্যাস্টিক্স চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২১’ প্রতিযোগিতা। এই আসরের শুভেচ্ছাদূত হয়ে ঢাকায় এসেছেন মার্গারিতা।

মিরপুর ইনডোর স্টেডিয়ামে প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী দিয়ে নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেন মার্গারিতা। রিওতে পাওয়া তার সাফল্য বাংলাদেশের জিমন্যাস্টদের অনুপ্রাণিত করবে বলে মনে করেন অল-অ্যারাউন্ড ইভেন্টে সোনা জয়ী এই তারকা।

“গতকাল (মঙ্গলবার) বাংলাদেশি জিমন্যাস্টদের সঙ্গে দেখা করেছি। তাদের দেখে আমি আসলেই বিস্মিত। তারা খুবই সুন্দর। এই আয়োজনও দেখতে ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপের মতো। আমি আসলেই খুশি এখানে আসতে পেরে। অনেক জিমন্যাস্টদের দেখে খুশি। কিছু মুভ দেখেছি, যেটা ছিল চমৎকার।”

“জিমন্যাস্টরা আমার অলিম্পিক মেডেল দেখেছে, সেটা ছুঁয়ে দেখেছে, অনেকে চুমো খেয়েছে। আমি মনে করি, এটা তাদেরকে অনুপ্রাণিত করবে। আগামীকালও আমি এখানে থাকব। তাদেরকে আমি আরও কিছু উপদেশ দিব। চমৎকার কিছু তাদের শেখানোর চেষ্টা করব।”

১৫ বছর পর বাংলাদেশের এসেছেন মার্গারিতা। মাঝের সময়ে অনেক কিছু বদলে গেছে বলেও জানালেন ২৫ বছর বয়সী অ্যাথলেট। রোমন্থন করলেন জিমন্যাস্টিক্সের আঙিনায় নিজের পথ চলাও।

“এটা লম্বা পথ চলা ছিল। ছোট একটা মেয়ের অনেকটা পথ পেরিয়ে অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন হওয়া-এটা অবশ্যই দীর্ঘ এবং কঠিন পথ চলা ছিল।”

“বাংলাদেশ অনেক বদলেছে। পনের বছর আগে এসেছিলাম। এবার এলামা। এই ১৫ বছরে বাংলাদেশ অনেক উন্নতি করেছে বলে মা আমাকে বলেছেন।”

২০০৮ সালে বেইজিং অলিম্পিকে রুপা জেতা সাঁতারু আলেক্সান্দার সুখোরুকভের সঙ্গে ২০১৭ সালে সংসার পেতেছেন মার্গারিতা। দুই বছর বয়সী ছেলেও আছে। ভবিষ্যতে ছেলেকে কী হিসাবে দেখতে চান, এমন প্রশ্নের জবাবে সাঁতারকেই বেছে নেন তিনি।

বাংলাদেশ, নেপাল, শ্রীলংকা, ভারত, উজবেকিস্তান ও পকিস্তান-এই ছয় দেশের ৬৭ জিমন্যাস্ট অংশ নেবে বলে জানিয়েছে জিমন্যাস্টিক্স ফেডারেশন।

ফেডারেশনের সভাপতি শেখ বশির আহমেদ মামুন জানালেন আগামীতে মার্গারিতাকে কাজে লাগানোর ভাবনাও আছে তাদের।

“এবার সে দূত হিসেবে এখানে এসেছে। ১৫ বছর পর বাংলাদেশে এসেছে। এখানকার অনেক কিছু সম্পর্কেই সে জানে না। কিন্তু পরেরবার আমরা যখন তাকে নিয়ে আসব, তখন তাকে নিয়ে আমাদের পরিকল্পনা থাকবে।”