কাম্প নউয়ে বুধবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ‘ই’ গ্রুপের ম্যাচে ১-০ গোলে জেতে বার্সেলোনা। টানা দুই হারের পর চলতি আসরে প্রথম জয়ের স্বাদ পায় কুমানের দল। প্রথমার্ধের শেষ দিকে ব্যবধান গড়ে দেওয়া গোলটি করেন পিকে।
পিকের গোলের আগে-পরে একাধিক সুযোগ নষ্ট হয় বার্সেলোনার। তাদের ভাগ্য ভালো, প্রতি-আক্রমণ নির্ভর খেলা দিনামো কিয়েভ পারেনি ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে। স্বস্তির জয় পেলেও নষ্ট হওয়া সুযোগগুলো নিয়ে ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে হতাশা ঝরে কুমানের কণ্ঠে।
“বিরতির পর আমরা তিনটি পরিষ্কার সুযোগ তৈরি করেছিলাম। আমরা এতগুলো সুযোগ নষ্ট হতে দিতে পারি না। আমরা প্রাণবাজি রেখে খেললাম, কিন্তু সুযোগগুলো ভেস্তে যেতে দিলাম।”
“সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ যে, আমরা রক্ষণে নিখুঁত ছিলাম। আমরা কিয়েভের ওপর আধিপত্য করেছি, কিন্তু অবশ্যই আগেই আমাদের খেলাটার শেষ টেনে দেওয়া উচিত ছিল। এক ঘণ্টা পর আমাদের উচিত ছিল ৩-০ বা ৪-০ গোলে এগিয়ে যাওয়া।”
চোট কাটিয়ে লম্বা সময় পর ফেরা ফাতিকে অবশ্য সমালোচনা করেননি কুমান। লিওনেল মেসির রেখে যাওয়া শূন্যতা পূরণে ধাপে ধাপে এগিয়ে যাওয়ার পক্ষে বার্সেলোনা কোচ।
“তার (ফাতির) সুযোগ নষ্ট করা দেখলেই বোঝা যায় এখনও তার কমতি আছে এবং এটা স্বাভাবিক। বুঝতে হবে, সে দীর্ঘদিন চোটের কারণে বাইরে ছিল এবং তার সময় প্রয়োজন। তাছাড়া, আগামী ৩১ অক্টোবরে তার বয়স হবে ১৯ বছর।”
“মেসি যে শূন্যতা রেখে গেছে, সেটা ফাতি পুরণ করবে, এমনটা চাওয়া ঠিক না। আমাদেরকে ধাপে ধাপে এগিয়ে যেতে হবে, আলৌকিক কিছু আশা করা উচিত না। নিজেকে ফিরে পাওয়ার জন্য ফাতির আরও সময় দরকার, এখনও তার বয়সই ১৯ বছর হয়নি।”
ফাতি-কৌতিনিয়ো-আগুয়েরো, এই আক্রমণ ত্রয়ীর কাছে প্রত্যাশা বেশি থাকলেও নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়ার জন্য তাদেরকে আরও সময় দিতে চান বার্সেলোনা কোচ।
“আমি মনে করি না, দ্বিতীয়ার্ধে তারা দারুণ ছিল। আনসু ও কৌতিনিয়ো ৪৫ মিনিট খেলল; নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়ার জন্য তাদের আরও সময় প্রয়োজন।”