পর্তুগালের লিসবনে বুধবার রাতে ‘ই’ গ্রুপের ম্যাচটি ৪-০ গোলে জিতেছে জার্মান চ্যাম্পিয়নরা। সবগুলো গোলই হয়েছে ১৪ মিনিটের মধ্যে।
জোড়া গোল করেন লেরয় সানে, একটি রবের্ত লেভানদোভস্কির। অন্যটি প্রতিপক্ষের আত্মঘাতী।
শিরোপা পুনরুদ্ধারের অভিযানে প্রথম তিন ম্যাচেই জিতল বায়ার্ন। বার্সেলোনাকে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়ে আসর শুরুর পর দিনামো কিয়েভকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল তারা।
আর বেনফিকা পেল প্রথম হারের স্বাদ। দিনামোর বিপক্ষে গোলশূন্য ড্রয়ের পর বার্সেলোনাকে ৩-০ গোলে হারিয়েছিল পর্তুগিজ দলটি।
পঞ্চম মিনিটে ভালো একটি সুযোগ পান সানে। মার্সেল সাবিৎজারের ক্রসে বাইরে দিয়ে শট নেন জার্মান ফরোয়ার্ড।
নবম মিনিটে সুবর্ণ সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি লেভানদোভস্কি। কিংসলে কোমানের ক্রস থেকে পোলিশ স্ট্রাইকারের শট ব্যর্থ করে দেন বেনফিকার গোলরক্ষক।
৩২তম মিনিটে প্রথম সেভ করেন বায়ার্ন গোলরক্ষক নয়ার। ডি-বক্সের ভেতর থেকে দারউইন নুনেসের শটে এক হাতে বল ক্রসবারের ওপর দিয়ে পাঠান তিনি।
বিরতির আগে কোমানের ক্রসে কাছ থেকে বল জালে পাঠিয়ে উৎসবে মাতেন লেভানদোভস্কি। তবে ভিএআরের সাহায্যে হ্যান্ডবলের বাঁশি বাজান রেফারি। লেভানদোভস্কির হাতেই লেগেছিল বল।
পরের মিনিটে নয়ারের আরেকটি দারুণ সেভ। নিক গনসালেসের শট এক হাতে ঠেকান তিনি।
অবশেষে ৭০তম মিনিটে ২৫ গজ দূর থেকে অসাধারণ ফ্রি-কিকে বায়ার্নকে এগিয়ে নেন সানে। ৮০তম মিনিটে বেনফিকার এভেরতনের ওই আত্মঘাতী গোল।
পরের চার মিনিটে স্বাগতিকদের জালে আরও দুবার বল পাঠায় সফরকারীরা। লেভানদোভস্কি ব্যবধান বাড়ানোর পর নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন সানে।
তিন ম্যাচে শতভাগ সাফল্যে ৯ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষে আছে বায়ার্ন। ৪ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে বেনফিকা।
আরেক ম্যাচে দিনামোকে ১-০ গোলে হারানো বার্সেলোনা ৩ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে আছে। দিনামোর ১ পয়েন্ট।
বড় জয় পেয়েছে শিরোপাধারী চেলসি। ঘরের মাঠে ‘এইচ’ গ্রুপের ম্যাচে মালমোকে ৪-০ গোলে হারিয়েছে তারা। জোড়া গোল করেন জর্জিনিয়ো, একটি করে আন্দ্রেয়াস ক্রিস্টেনসেন ও কাই হার্ভাটজ।
গ্রুপের আরেক ম্যাচে জেনিত সেন্ট পিটার্সবুর্গকে শেষ দিকের গোলে হারিয়েছে ইউভেন্তুস। তিন ম্যাচে তিন জয়ে ৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে ইতালিয়ান দলটি।
৬ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে চেলসি। ৩ পয়েন্ট নিয়ে তাদের পরে আছে জেনিত। তিনটিতেই হারা মালমোর পয়েন্ট শূন্য।