পুরস্কারটির জন্য গত শুক্রবার ৩০ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ করে ফ্রান্স ফুটবল ম্যাগাজিন। রেকর্ড ছয়বারের বিজয়ী লিওনেল মেসি, গত মৌসুমটা দুর্দান্ত কাটানো চেলসির ইতালিয়ান মিডফিল্ডার জর্জিনিয়ো, গোলমেশিন রবের্ত লেভানদোভস্কিদের সম্ভাবনাই বেশি বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তাদের মতো দলীয় সাফল্য না থাকলেও ব্যক্তিগত অর্জনে বছরটা দুর্দান্ত কেটেছে রোনালদোর। ইউভেন্তুসের হয়ে ২০২০-২১ সেরি আয় সর্বোচ্চ ২৯ গোল করেন তিনি। সঙ্গে গড়েন প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে প্রিমিয়ার লিগ, লা লিগা ও সেরি আয় আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ার রেকর্ড।
ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে গিয়েও দারুণ কয়েকটি রেকর্ড গড়েন তিনি। পর্তুগাল শেষ ষোলো থেকে বিদায় নিলেও তার আগেই আসরের সর্বোচ্চ পাঁচটি গোল করে আন্তর্জাতিক ফুটবলে আগের রেকর্ড গোলদাতা আলি দাইকে স্পর্শ করেন রোনালদো। পরে গত সেপ্টেম্বরে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে রিপাবলিক অব আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে গোল করে রেকর্ডটি নিজের করে নেন পাঁচবারের বর্ষসেরা ফুটবলার।
এর আগে গত জানুয়ারিতে ক্লাব ও জাতীয় দল মিলে ফুটবল ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড গড়েন রোনালদো। ছাড়িয়ে যান ৭৫৯ গোল করা ইয়োসেপ বিকানকে।
এই রেকর্ড নিয়ে অবশ্য কিছুটা বিতর্কও আছে। অস্ট্রিয়া ও সেই সময়ের চেকোস্লোভাকিয়ার স্ট্রাইকার বিকান মাঠ মাতিয়েছেন ১৯৩০ ও ’৪০ এর দশকে। সে সময়ে বর্তমানের মতো এতটা নিখুঁতভাবে পরিসংখ্যান রাখা হতো না।
রেকর্ডে মোড়া বছরের জন্যই পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী এক সময়ের শিষ্য রোনালদোকে এগিয়ে রাখছেন ফার্গুসন।
“এটা ক্রিস্তিয়ানোর প্রাপ্য। এই বছর সে রেকর্ডের পর রেকর্ড ভেঙেছে।”
ইতিহাসের প্রথম ফুটবলার হিসেবে ক্লাব ও জাতীয় দল মিলিয়ে আটশ গোলের মাইলফলক থেকে কেবল ৫ গোল দূরে আছেন রোনালদো।
বড় কোনো শিরোপা সাফল্য না থাকায় রোনালদোকে অনেকে পিছিয়ে রাখলেও ব্যক্তিগত অর্জনে তিনি এগিলে গেলেও অবাক হওয়ার মতো কিছু হবে না। দেশের হয়ে সবশেষ তিন ম্যাচে যেমন একটি হ্যাটট্রিকসহ করেছেন ৬ গোল।
আন্তর্জাতিক ফুটবলে তার এখন মোট গোল ১১৫টি।