‘চমকে দিতে পারে বাংলাদেশ’

খুব কম সময় পেলেও বাংলাদেশের খেলায় পরিবর্তনের ছাপ রাখতে পেরেছেন অস্কার ব্রুসন। রক্ষণ সামলানোর কৌশল থেকে বেরিয়ে আক্রমণাত্মক খেলছেন জামাল-মতিনরা। বদলে যাওয়া বাংলাদেশকে তাই সমীহের দৃষ্টিতে দেখছেন কিরণ শ্রেষ্ঠা। ব্রুসনের দল যে কাউকে, যে কোনো মুহূর্তে চমকে দিতে পারে বলে নেপালকে সতর্ক করলেন দলটির সহকারী কোচ।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Oct 2021, 07:34 PM
Updated : 12 Oct 2021, 07:34 PM

রাউন্ড রবিন লিগে নিজেদের শেষ ম্যাচে মালদ্বীপের রাজধানী রাশমি ধান্দু স্টেডিয়ামে বুধবার মুখোমুখি হবে দুই দল। বাংলাদেশ সময় বিকাল ৫টায় শুরু হওয়া ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার করবে টি স্পোর্টস।

প্রাপ্তির দিক থেকে দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলের সর্বোচ্চ প্রতিযোগিতায় এগিয়ে বাংলাদেশ। ২০০৩ সালে প্রথম এবং সবশেষ এ আসরে লাল-সবুজের বিজয় কেতন উড়েছে। অন্যদিকে কখনও ফাইনালের মঞ্চেই পা পড়েনি নেপালের।

তিন ম্যাচে দুই জয়ে ৬ পয়েন্ট পাওয়া নেপালের অবশ্য এবার ব্যর্থতার বৃত্ত ভাঙার সুযোগ আছে ভালোভাবে। বাংলাদেশের বিপক্ষে ড্র করলেই আগামী শনিবারের ফাইনালে খেলবে তারা।

এমন প্রাপ্তির হাতছানিতে দলটির সহকারী কোচ কিরণ ভুলে যাচ্ছে না এবার শ্রীলঙ্কাকে হারানো এবং শক্তিশালী ভারতকে রুখে দেওয়া ব্রুসনের দলের সামর্থ্যকে। গত নভেম্বরে দুই প্রীতি ম্যাচের প্রথমটিতে ২-০ গোলের হার এবং দ্বিতীয়টিতে গোলশূন্য ড্রয়ের অতীতও মনে রেখেছেন তিনি।

“বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলা সবশেষ দলটির চেয়ে এই দলটা ভিন্ন। নতুন কোচ এবং নতুন কিছু খেলোয়াড়ও আছে এই দলে। যে কাউকে চমকে দেওয়ার সামর্থ্য আছে তাদের।”

“এই ম্যাচ থেকে আমরা যেটা চাই, সেটা পেতে হলে আমাদের পরিকল্পনাগুলো ঠিকঠাক মতো কাজে লাগাতে হবে।”

একই দিনে অন্য ম্যাচে মুখোমুখি হবে সাফের রেকর্ড সাতবারের চ্যাম্পিয়ন ভারত ও স্বাগতিক মালদ্বীপ। এ ম্যাচেও একই সমীকরণ। ড্র করলে ফাইনালে উঠবে শিরোপাধারী মালদ্বীপ। বাংলাদেশের মতো ভারতেরও দরকার জয়। ‘সেমি-ফাইনাল’ হয়ে যাওয়া দুই ম্যাচের চার দলই চাপে আছে বলে মনে করেন কিরণ।

“আগামীকাল যারা খেলবে, তারা সবাই চাপে আছে। ভারতের জয় দরকার, মালদ্বীপের দরকার ড্র। বাংলাদেশের তিন পয়েন্ট প্রয়োজন, আমাদের লাগবে অন্তত এক পয়েন্ট।”

“মানে দাঁড়াচ্ছে, সবাই চাপে আছে এবং কোনো কিছুই সহজভাবে আসবে না। এখন আমাদের চাওয়া, চাপ সামাল দিয়ে আগামীকাল যেটা প্রয়োজন, সেটার করতে সক্ষম হবে ছেলেরা।”