নেপালের ওপরই ‘চাপ’ দেখছেন রাকিব-রুপু

প্রথমবারের মতো সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠতে নেপালের দরকার ড্র। জয় ছাড়া বিকল্প নেই বাংলাদেশের। এমন পরিস্থিতিতে নিজেদের ওপর চাপ দেখছেন না মিডফিল্ডার রাকিব হোসেন ও টিম ম্যানেজার সত্যজিৎ দাস রুপু। দুজনেরই দাবি, বাংলাদেশ নয়, বরং চাপে আছে নেপালই!

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Oct 2021, 03:50 PM
Updated : 11 Oct 2021, 03:50 PM

মালদ্বীপের রাজধানী মালের রাশমি ধান্দু স্টেডিয়ামে আগামী বুধবার বিকাল ৫টায় মুখোমুখি হবে দুই দল। তিন ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে নেপাল। ৪ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে বাংলাদেশ।

২০১৮ সালের সাফে গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশ ছিটকে গিয়েছিল নেপালের বিপক্ষে হেরে। গ্রুপ পেরুতে হলে সেই ম্যাচে জয়ের বাধ্যবাধকতা ছিল দলের। কিন্তু চাপে ভেঙে পড়ে দল হেরে যায় ২-০ গোলে। এবারও একই পরিস্থিতির মুখে বাংলাদেশ। তবে বাফুফের পাঠানো ভিডিও বার্তায় রাকিব ও রুপু দুজনই বললেন, চাপে নেই বাংলাদেশ।

কার্ডের কারণে মালদ্বীপের বিপক্ষে হেরে যাওয়া ম্যাচে খেলতে পারেননি রাকিব। দুই দিন বিশ্রামের পর সোমবার মালের হেনভেইরু ট্রেনিং পিচে অনুশীলন সেরেছে দল। রাকিবও ফিরেছেন অনুশীলনে। ২২ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার আশাবাদী মালদ্বীপ ম্যাচের ব্যর্থতা পেছনে ফেলার ব্যাপারে।

“মালদ্বীপ ম্যাচে সবাই চেষ্টা করেছিল কিন্তু হয়নি। আসলে সবাই ক্লান্ত ছিল। টানা তিনটা ম্যাচ খেলার কারণে সবাই নিজেদের সেরাটা দিতে পারেনি। আমাদের সবার ইচ্ছা সামনের ম্যাচে ভালো কিছু করার; সর্বোচ্চটা দেওয়ার। আসলে আমরা সবাই খেলি, সবাই চেষ্টা করি গোল করার, কিন্তু সবার হয় না। সামনের ম্যাচ নিয়ে কোচ আমাদের যে নির্দেশনা দিয়েছেন, সে অনুযায়ী যদি খেলতে পারি, তাহলে ভালো কিছু হবে।”

“এ ম্যাচে আমরা চাপে নেই। ওরাই (নেপাল) চাপে থাকবে। ওদের যেহেতু ৬ পয়েন্ট, আমাদের ৪ পয়েন্ট, আমরা খেলব জয়ের জন্য। (কোন কৌশলে খেলবে দল) এটা এখনই বলা যাবে না। তবে সবাই চেষ্টা করছি অ্যাটাকিং খেলার জন্য।”

নেপালের বিপক্ষে ম্যাচটিকে ‘সুবর্ণ সুযোগ’ হিসেবে দেখছেন রুপু। সাবেক এই তারকা ডিফেন্ডারও মনের করেন চাপে আছে তাদের প্রতিপক্ষ।

“প্রাথমিক লক্ষ্য অর্জনের জন্য নেপালকে হারাতে হবে। সে লক্ষ্য নিয়ে কোচ পরিকল্পনা সাজিয়েছেন। কাজ করছেন। আমি মনে করি ৯০ মিনিটের খেলা এবং আমাদের জন্য সুবর্ণ সুযোগ। ছেলেরা প্রস্তুত আছে। দেশের মানুষ যে আশা করে আছে, আমি আশা করি, ছেলেরা তাদের হতাশ করবে না।”

“আমার কাছে যেটা মনে হয়, আমরা যদি এগিয়ে থাকতাম, তারা পিছিয়ে থাকত, তাহলে চাপটা আমাদের ওপর থাকত। বিষয়টা এরকম হতো, আমরা তাদের ঠেকিয়ে রাখতে পারব কিনা। কিন্তু এখানে তাদেরই উল্টো চাপ নিতে হবে-বাংলাদেশকে আটকে রাখতে পারবে কিনা।”

সুযোগ কাজে লাগিয়ে দল ফাইনালে উঠতে পারবে বলেও বিশ্বাস রুপুর।

“তারা যদি পারে, তারা ফাইনালে উঠবে। আমরা যদি পারি, আমরা ফাইনালে উঠব। এটা আর সব ম্যাচের মতোই। আমি মনে করি, এটা আমাদের জন্য সুবর্ণ সুযোগ; যেটা কাজে লাগাতে পারলে আমরা ফাইনালে খেলব।”