‘স্পেনবিহীন বিশ্বকাপ ভালো হবে না’

ফুটবল বিশ্বের শীর্ষ দলগুলোর একটি স্পেন। একমাত্র দল হিসেবে তারা টানা জিতেছে ইউরো-বিশ্বকাপ-ইউরো। বর্তমানেও তাদের শক্তি-সামর্থ্য কোনো অংশে কম নয়, কিন্তু আগামী বিশ্বকাপে দলটির অংশগ্রহণ পড়েছে কিছুটা শঙ্কার মুখে। বাছাইয়ে শেষ দুই ম্যাচে একটুখানি হোঁচট খেলেই ঘটতে পারে বিপদ। তবে তেমন কিছু ভাবতেই পারছেন না দিদিয়ে দেশম। ফ্রান্স কোচের মতে, স্পেন ছাড়া বিশ্বকাপ মোটেও আকর্ষণীয় হবে না।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Oct 2021, 02:59 PM
Updated : 11 Oct 2021, 03:15 PM

গত জুন-জুলাইয়ে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের সবশেষ আসরে দারুণ খেলেছে স্পেন। যদিও সেমি-ফাইনালে ইতালির বিপক্ষে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নেয় তারা। চার দলের নেশন্স লিগের ফাইনালও খেলে লুইস এনরিকের দল। রোববার রাতে ফ্রান্সের বিপক্ষে ২-১ গোলে হেরে হাতছাড়া করে শিরোপা।

ছন্দে থেকেও অনিশ্চয়তার সুতোয় ঝুলছে স্পেনের বিশ্বকাপ ভাগ্য। ইউরোপ অঞ্চলের বাছাইয়ে ১০ গ্রুপের শীর্ষ ১০ দল সরাসরি টিকেট পাবে কাতার বিশ্বকাপে। 

এখন পর্যন্ত বাছাইয়ে ৬ ম্যাচ খেলে চার জয় ও এক ড্রয়ে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে ‘বি’ গ্রুপের শীর্ষে আছে স্প্যানিশরা। তাদের চোখ রাঙ্গানি দিচ্ছে সুইডেন; এক ম্যাচ কম খেলে ১২ পয়েন্ট নিয়ে তাদের পরেই আছে তারা।

প্রথম দেখায় এই সুইডেনের বিপক্ষেই হেরেছিল স্পেন। সামনে তাদের দুটি ম্যাচের একটি সুইডেনের বিপক্ষেই। আরেকটিতে প্রতিপক্ষ গ্রুপের তিন নম্বর দল গ্রিস, যাদের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ড্র করেছিল লুইস এনরিকের দল।

২০২৩ কাতার বিশ্বকাপে সরাসরি জায়গা করে নিতে হলে সামনের দুই ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই স্পেনের। তাদের হারিয়ে নেশন্স লিগের শিরোপা জেতা ফ্রান্স কোচ দেশমের বিশ্বাস, বাছাইপর্ব উতরানোর সামর্থ্য আছে এই দলের। 

“এমন কিছু (স্পেন ছাড়া বিশ্বকাপ) চিন্তাই করা যায় না। এটা হবে সবার জন্য খুবই কঠিন। আমি জানি, প্রথম স্থানের জন্য সুইডেনের সঙ্গে লড়াই করছে স্পেন। প্রতিটি ম্যাচই কঠিন। তবে বাছাইপর্ব পার হওয়ার মতো যথেষ্ট শক্তি স্পেনের আছে।”

“এই টুর্নামেন্টগুলোতে ইউরোপের বড় দলগুলোর থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ। ইউরোপিয়ান গ্রেটদের একটিকে ছাড়া বিশ্বকাপ হবে খারাপ।”

আগামী নভেম্বরে বাছাই পর্বের শেষ দুই ম্যাচ খেলবে স্পেন।

সরাসরি বাছাই পার হতে না পারলেও অবশ্য সুযোগ শেষ হয়ে যাবে না স্পেনের। সেক্ষেত্রে প্লে-অফ খেলে কাতারে যাওয়ার সুযোগ পাবে ২০১০ সালের বিশ্বকাপ জয়ীরা।

বাছাইপর্বের ১০ গ্রুপের রানার্সআপ ও নেশন্স লিগের সেরা দুই গ্রুপ জয়ী মিলে ১২ দলের প্লে-অফে ইউরোপ থেকে আরও তিনটি দল সুযোগ পাবে কাতার বিশ্বকাপে খেলার।